ফের মেট্রো লাইনে আত্মহত্যা। কলকাতা মেট্রোর লাইন থেকে মিলেছে দেহ। ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় অফিস টাইমে মেট্রো স্টেশনের অন্দরে। মেট্রোর মোটরম্যান সকাল ৯টা ৪৭ মিনিট নাগাদ এব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করেন। এদিকে মেট্রোর লাইনে দেহ উদ্ধারের ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য় মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সূত্রের খবর, দেহ উদ্ধারের জন্য় সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ লাইনে পাওয়ার ব্লক করা হয়।
সূত্রের খবর, একেবারে অফিস টাইমে থমকে যায় মেট্রো পরিষেবা। রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনের কাছে এক যাত্রী মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দেন বলে খবর। রবীন্দ্র সরোবর ও মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনের মাঝে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। এদিকে দেহ তোলার জন্য় ৪৫ মিনিট ধরে আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রো রেল। ৪৫ মিনিট পরে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সেই সময়ের জন্য় স্বাভাবিক ছিল। তবে দেহ তুলে নেওয়ার পরে ফের মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে মেট্রো স্টেশনের সর্বত্র সিসি ক্য়ামেরা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেখা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য় কোনও ঘটনা হয়েছে। দুটি স্টেশনের মাঝে দেহটি কীভাবে গেল সেটা দেখা হচ্ছে। মোটরম্যান দেহটি দেখতে পান। ৯টা বেজে ৪৭ মিনিট নাগাদ এটার ব্যাপারে রিপোর্ট করা হয়। তবে দেহটি কার সেটা বোঝা যায়নি। দেহটিকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে মেট্রো লাইনে আত্মহত্যা রুখতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরেও এই ঘটনা। হারিয়ে গেল একটি প্রাণ।
তবে এবারই প্রথম নয়।
গত ১১ জুলাই এমজি রোড মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। ঘড়ির কাঁটায় তখন ২ টো ২৭ মিনিট। আচমকা তাঁরা দমদমগামী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন। ঘটনায় দ্রুত মেট্রোর থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যুগলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আবার গত ৩ জুন একইভাবে মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়েছিল এক যুগল। ঘটনাটি ঘটেছিল নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের ডাউন লাইনে। সেই ঘটনায় মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল যাত্রীদের।
ফের বুধবার মেট্রো লাইন থেকে উদ্ধার হল দেহ।