করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে কিছুদিন আগেই ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর নয়া পদ্ধতি চালু করেছে কলকাতা পুলিশ। তার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ থানায় না গিয়ে বাড়িতে বসেই হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেইসঙ্গে অডিও রেকর্ডিংও পাঠাতে পারবেন। নির্দেশমতো কলকাতার সমস্ত থানার পুলিশ আদৌও সেই কাজ ঠিকমতো করছে কিনা, সে বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে লালবাজার।
বিভিন্ন থানার পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের লালবাজার থেকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিচয় গোপন রেখে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই পুলিশকর্মীদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ জানানো সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর লালবাজারের বিভিন্ন পুলিশকর্তা নিজেরাই এ বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন থানায় ফোন করছেন। আর ফোন করার পর হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ জানানোর জন্য কী কী করণীয় ,সেই সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার বিভিন্ন থানার পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে মানুষের অভিযোগ শুনছে কিনা বা হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ নেওয়ার বিষয়টি কার্যকর করছে কিনা, সে বিষয়টির উপর নজরদারি চালানোর জন্য এভাবে বিভিন্ন থানায় ফোন করা হচ্ছে।
যদিও কর্তাদের বক্তব্য, থানাগুলিতে এভাবে ফোন করে লালবাজারের নজরদারি চালানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই লালবাজার থেকে বিভিন্ন থানা এবং ট্রাফিক গার্ডগুলিতে ফোন করা হয় বলে লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন। আসলে পুলিশের পরিষেবা সম্পর্কে মাঝেমধ্যেই মানুষের অভিযোগ উঠে আসে। ফলে পুলিশ কর্তারা এভাবে নজরদারি চালালে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার কলকাতার সমস্ত থানাকে ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ জমা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। তারপরে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে কলকাতার সমস্ত থানা। প্রাথমিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপে জানানো অভিযোগ জেনারেল ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হচ্ছে । প্রয়োজনে সেটিকে এফআইআর আকারেও নথিভgক্ত করা হচ্ছে।হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত আকারে অভিযোগ জমা দেওয়ার পাশাপাশি অডিও রেকর্ডিং পাঠানোরও ব্যবস্থা রয়েছে।