করোনাভাইরাসের জেরে যাদবপুরের কেএস রায় যক্ষ্মা হাসপাতালে যক্ষ্মারই চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরে ১৩০টি শয্যা নিয়ে কেএস রায় কোভিড হাসপাতাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেখানকার যক্ষ্মা নিরাময়ের পুরো পরিকাঠামো সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বারুইপুরে। করোনা চিকিৎসা বন্ধ হতে চলেছে এমআর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানে আবার সব রোগের চিকিৎসা শুরু হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বাঙুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা হাসপাতালে অন্য রোগের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলা ও কলকাতার একটা বড় অংশে পরিষেবা দিতে খুবই সমস্যা হচ্ছিল। চাপ বেড়ে গিয়েছিল এসএসকেএমের উপরে। তাতে রোগী–প্রত্যাখ্যানের হারও বেড়ে গিয়েছিল। তাই শুরু হয় বিকল্পের খোঁজ। যাদবপুরে রয়েছে কেএস রায় যক্ষ্মা হাসপাতাল। তারই খানিকটা জমিতে গড়ে উঠেছে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ।
জানা গিয়েছে, যক্ষ্মার নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীকে টানা সাত দিনের বেশি হাসপাতালে থাকতে হয় না। বাকি চিকিৎসা চলে বাড়িতেই। ফলে কেএস রায় যক্ষ্মা হাসপাতালের বিশাল পরিকাঠামো কোভিডের কাজে ব্যবহার করা হবে। তাই বাঙুর থেকে কোভিড হাসপাতাল কেএস রায়ে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে গত ২১ ডিসেম্বর রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কেএস রায়কে দক্ষিণ কলকাতার এবং বেলেঘাটার আইডিকে উত্তর কলকাতার ‘কোভিড নোডাল হাসপাতাল’ করা হবে। কেএস রায় কোভিড হাসপাতালের ১৩০টি শয্যার মধ্যে ৪০টি নিয়ে গড়ে উঠবে ‘হাই ডিপেন্ডেন্সি ওয়ার্ড’ (এইচডিইউ)। সেখানকার যক্ষ্মা চিকিৎসার গোটা পরিকাঠামোই স্থানান্তরিত হচ্ছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের একটি ভবনের একতলায়। সেখানে ১২টি শয্যা থাকবে। চলবে যক্ষ্মার ডে কেয়ার এবং বহির্বিভাগ। যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সেজন্য এটিকে হাসপাতালের অন্য অংশ থেকে একেবারে আলাদা রাখা হবে। কেএস রায়ের সব চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মীদের বারুইপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।