বর্ধিত পার্কিং ফি কে কেন্দ্র করে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্য়ে কার্যত ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছিল বলে খবর। তবে অত্যন্ত কৌশলে সেই লড়াইতে ইতি টেনে দিলেন কুণাল নিজেই। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পার্কিং ফি ইস্যু ক্লোজড চ্য়াপটার।
তবে দলের অন্দরে প্রশ্ন, বাস্তবে যে সব কথা তিনি মুখপাত্র হিসাবে বলেছিলেন বা বলছেন তা কি তাঁর নিজের কথা? নাকি দলের আরও শীর্ষ মহল থেকে ফিরহাদকে চাপে রাখতে এসব কথা বলানো হচ্ছে তাঁকে দিয়ে?
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন, পার্কিং ফি ইস্যু ক্লোজড চ্যাপটার।কারোর সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। মানুষের চাপ হচ্ছিল। দল দলের অভিমুখ থেকে বলেছে। ফিরহাদ হাকিম যোগ্য লোক।পুরানো সিনিয়র নেতা।তার সঙ্গে কোনও বিরোধিতা নেই। দলের নির্দেশ যতটুকু বলার ছিল বলেছি। আর কিছু বলার নেই। দলের পার্ট যা ছিল হয়ে গেছে।
পার্কিং ফি-কে কেন্দ্র করে যে শোরগোল পড়েছিল তাতেই কার্যত জল ঢেলে দিলেন দলের পোড় খাওয়া নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভা এলাকায় পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কার্যত প্রকাশ্যে কলকাতা পুরসভার পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে দলের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। যে কথা ঘরের ভেতরে বলা যেত সেটা বাইরে বলে কি তবে কৌশলে ফিরহাদকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন কুণাল?
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা না বলেই কলকাতায় পার্কিং ফি বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলে কুণাল দাবি করেন। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শনিবার রাতে বর্ধিত পার্কিং ফি দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয় পুর কর্তৃপক্ষ।
তবে বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষের প্রকাশ্যে বক্তব্যকে ঘিরে কার্যত অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন ফিরহাদ। তিনি এরপর এনিয়ে নতুন করে মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুরসভা নিয়ে প্রকাশ্যে কেন নাক গলাচ্ছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে এবার কুণাল নিজেই যাবতীয় বিতর্কে জল ঢাললেন।
তবে অনেকে বলছেন বিগত দিনে কুণাল জেলে থাকাকালীন তাঁর সম্পর্কে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ। তবে কি সুযোগ বুঝে ফিরহাদকে এতদিন পরে চাপে ফেললেন কুণাল ঘোষ?