খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে। এটা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের বাণী। তার সঙ্গেই তার সংযোজন ছিল চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে। বিরোধীদের নকুলদানা খাওয়ানোর দাওয়াই দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তিনি এখন গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি। তবে এবার রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে সেই অনুব্রতর কথাই তুলে আনলেন কুণাল ঘোষ। বলা ভালো অনুব্রত যে সব কথা বলে বিরোধীদের চমকাতেন সেকথাই তুলে আনলেন কুণাল ঘোষ। রীতিমতো হুঁশিয়ারি।
এর আগেও নানা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কিন্ত এদিন যেন সব কিছুকে ছাপিয়ে গেলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, কুকুর বেড়ালকে জায়গা দিতে যেও না। পাগলা কুকুর আর বিষধর সাপ দেখলে মেরে দেওয়া উচিত। তৃণমূল রবীন্দ্র সংগীত শোনায়। এবার নেতা নেত্রীদের বলতে হবে, একটা অনুমতি দিন মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি…তৃণমূলের কর্মীরা বাংলা জুড়ে…আমরা রসগোল্লা খাওয়াবো? আমাদের গালাগালি করে.. হবে না হবেনা। অনেক হয়েছে আর হবে না। যে সমস্ত কথাগুলো নিয়ে আওয়াজ তোলে। ভোটে পারে না লড়ছে এজেন্সি দিয়ে। বীরভূমে নকুলদানা দিয়ে যদি জল না দেওয়া হয়, যদি ঢাকের চড়াম চড়াম না দেওয়া হয়…এরা গণতন্ত্রে লড়ছে না…তীব্র হুঁশিয়ারি তৃণমূলের মুখপাত্রের। তবে কুণাল ঘোষের মুখে একথা শুনে হতবাক অনেকেই।
কুণাল ঘোষ রাজনীতিবিদ। কিন্তু তাঁর আরও একটা পরিচয় আছে। তিনি সাংবাদিক। অনুব্রতর চড়াম চড়ামের সমালোচনায় মুখর ছিলেন অনেকেই। আর এবার কুণাল ঘোষের মুখেও সেই একই কু কথা।
তবে এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি যিনি চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলতেন তিনি নিজেই ঢাক হয়ে গিয়েছেন। আর সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, যখন জেলবন্দি ছিলেন কুণাল তখন পুলিশের প্রিজন ভ্যানে পেটানোর আওয়াজ করত পুলিশ। সেটা মনে হয় এখনও ভুলতে পারছেন না কুণাল ঘোষ।