সময়মতো সরবরাহ করা হচ্ছে না পানীয় জল। টানা তিন দিন ধরে এরকম পরিস্থিতি চলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দীর্ঘক্ষণ ধরে পথ অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খোদ রাস্তায় নামেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা। মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে অবশেষে অবরোধ তুলে নিলেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান এলাকার বাসিন্দারা শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাস্তা অবরোধ করেন।
সিমলাগড় স্টেশন বেসরকারিকরণের অভিযোগ, প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভ যাত্রীদের
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকে ঠিকমতো এলাকায় জল সরবরাহ করছে না পুরসভা। তারওপর গত কয়েকদিন ধরেই পানীয় জল এবং গঙ্গার জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আগে থেকেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তবে শনিবার ছট পুজোর মুখে জল বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ ঘটে। সকাল ৯টা থেকে রাস্তা অবরোধে সামিল হন ২১ থেকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা জোড়াবাগান-নিমতলা ঘাট স্ট্রিট এলাকায় দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন। তারা নিজেরাই ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
শেষে খবর পেয়ে সেখানে যান ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীরা হাজরা এবং মন্ত্রী শশী পাঁজা। মীরা হাজরা জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে জল বন্ধ করা হয়নি। প্রতিমা বিসর্জনের পর জোড়াবাগান মল্লিক ঘাট শোধনাগারে পাইপের মুখে কাঠামো ও খড় আটকে রয়েছে। সেই কারণে জল তোলায় বাধা তৈরি হচ্ছে। জলের গতি কম থাকার কারণে গাড়িতে করে জল দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী শশী পাঁজা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর পাশাপাশি জল সরবরাহের আশ্বাস দেন। এর পরে অবরোধ উঠে যায়। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, প্রতিমার খড় এবং কাঠামো আটকে থাকার ফলে সমস্যা হচ্ছে। সেগুলি পরিষ্কার করার পর পুনরায় জল সরবরাহ করা হবে।