অপেক্ষার অবসান হল। কু–ঝিক–ঝিক করে চালু হয়ে গেল লোকাল ট্রেন। আর তাতে পাড়ি দিয়ে এখন এক হয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলা থেকে শহর। করোনার জেরে মানুষকে অপেক্ষা করতে হল সাত মাস। অবশেষে বুধবার থেকে চাকা গড়াল লাইনে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে, যদি সম্ভব হয় তাহলে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হোক কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতে। কারণ বিপুল পরিমাণ মানুষ মফঃস্বল থেকে কলকাতায় এই উৎসবে সামিল হতে চাইবে। যা আটকানো সম্ভব হবে। এদিন থেকে পূর্ব রেল ও দক্ষিণ–পূর্ব রেল মিলিয়ে ৬৯৬টি লোকাল ট্রেন চালু করেছে। তার মধ্যে ৪১৩টি ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদহ থেকে। আর ২০২টি ট্রেন চলবে হাওড়া থেকে। একইসঙ্গে ৮১টি ট্রেন চলবে খড়গপুর ডিভিশনে।
লোকাল ট্রেন হল মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় যাতায়াতের লাইফলাইন। গ্রাম, শহরতলি থেকে শহরে যোগাযোগ শুরু হয়ে গেল আজ থেকে। এই লোকাল ট্রেনের সাহায্যে শহরতলি এবং গ্রামবাংলা থেকে প্রচুর মানুষ শহরে আসে কাজের জন্য। হাওড়া–শিয়ালদহ মিলিয়ে মোট ২ মিলিয়ন মানুষ কাজে আসে দৈনিক। ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা চিন্তার বিষয়।
এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক বলেন, ‘লোকাল ট্রেন চালানো হবে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে। পুলিশ এবং রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা কঠোর হাতে তা পালন করবে।এখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। থার্মাল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
রেলের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত ট্রেন স্যানিটাইজ করা হয়েছে।সামাজিক দূরত্ব রাখতে ট্রেনের ভেতরে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হকারদের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না। কোভিড নিয়ম মানার জন্য বারবার ঘোষণা করা শুরু হয়েছে। এখন দেখার হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৪–১৫ নভেম্বর রাজ্য কি ব্যবস্থা করে।