ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবের তিন দিন পরও ফেরেনি বিদ্যুৎ। ফলে নেই জলও। ওদিকে অস্বস্তিকর গরমে জেরবার কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। সব থেকে সমস্যায় বহুতলের বাসিন্দারা। বালতি করে টেনে জল তুলতে নাজেহাল অবস্থা তাঁদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবিতে পথ অবরোধ হল দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গায়। ক্ষোভে ফুঁসছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাও।
শুক্রবারের পর শনিবারও দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, বাঘাযতীনে বেশ কিছু জায়গায় পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা লাগোয়া কলকাতার ওই এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ ফেরেনি। ফলে মানুষ জলের কষ্টে ভুগছেন। বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে শনিবার সাঁপুইপাড়ায় ইএম বাইপাস কানেকটর অবরোধ করেন স্থানীয়রা। অবরোধ হয় কসবা ও বাঘাযতীনের শ্রীপল্লিতেও।
সব জায়গাতেই মানুষের দাবি জল ও বিদ্যুৎ চাই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তিন দিন পেরোতে চললেও এখনো দেখা মেলেনি বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের। নেই জল। বহুতলের বাসিন্দারা জল বালতিতে করে তুলতে তুলতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সব থেকে খারাপ অবস্থা বৃদ্ধ ও শিশুদের।
আমফান বিধ্বস্ত জেলাগুলির অবস্থা আরও খারাপ। উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো বিদ্যুৎহীন। অনেক জায়গায় এখনো রাস্তা ও বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে থাকা গাছই এখনো কাটা হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ কবে ফিরবে কেউ জানেন না। উত্তর ২৪ পরগনার, হাবরা, বনগাঁ, বাগদা, স্বরূপনগর, আমডাঙা প্রায় গোটাটাই বিদ্যুৎহীন। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও একই অবস্থা। সেখানে নামখানা, কাকদ্বীপ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো অন্ধকারে।