দেশজোড়া লকডাউনের তৃতীয় দিনেই বাঙালির পাত থেকে গায়েব হতে বসেছে মাছ। শুক্রবার কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় মাছের বাজার ছিল শুনশান। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চালান নেই, তাই দোকানের ঝাঁপ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। যেটুকু মাছ মিলেছে তার দরও ছিল আকাশ ছোঁয়া। আর মাছের অকালের সুযোগে ফের জাতে উঠেছে মুরগি।
শুক্রবার সকালে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির মাছবাজারে অধিকাংশ দোকানই খোলেনি। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে মাছ নেই। যেটুকুও রয়েছে তার দর অনেক বেশি। ফলে কেনা যাচ্ছে না। ফলে মুরগির মাংসের দোকানের দিকে পা বাড়িয়েছেন তারা। সেই সুযোগে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে মুরগি।
বিক্রেতারা বলছেন, গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে স্থানীয় মাছ বাজারে আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নানা রকমের মাছ পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। ফলে নির্ভর করতে হয়েছে কাটাপোনার ওপর। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী লকডাউন জারি হওয়ায় সেই জোগানও বন্ধ। বুধবার থেকে আড়তে মাছ না-পৌঁছনোয় বাজারে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে।
বিক্রেতাদের মতে, স্থানীয় মাছ জল থেকে তুলে সংরক্ষণ করা যায় না। দ্রুত তা বাজারজাত করতে হয়। লকডাউনের মধ্যে কোথায় গাড়ি আটকে থাকবে সেই ভয়ে মাছ জল থেকে তুলতে সাহস পাচ্ছেন না পাইকাররা। ফলে স্থানীয় মাছের জোগান একেবারে বন্ধ। ভরসা ছিল অন্ধ্রের মাছ। কিন্তু দেশব্যাপী লকডাউনে তাতেও ভাটা পড়েছে। ফলে প্রশাসন এক্ষুণি পদক্ষে না করলে আগামীতে মাছের সংকট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।