লোকসভা নির্বাচন বাংলায় এক দফায় করার দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে। আজ, সোমবার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের বক্তব্য শোনে। ওই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাংলায় এক দফাতেই ভোট করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যতবার আসবেন তত দফায় ভোট হবে সেটা যেন না হয়।
এদিকে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন রাজ্যে সাত দফায় হয়েছিল। এবার যাতে এক দফাতেই ভোট হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সোমবার সব রাজনৈতিক দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকেই এক দফায় ভোট করার দাবি জানান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, বিজেপিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সাত দফায় নির্বাচন করা যাবে না। এক দফায় ভোট করার জন্য যত কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে হয় আনা হোক। তৃণমূলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
আরও পড়ুন: ‘মানুষ একদিন জবাব দেবে’, নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা মমতার
অন্যদিকে বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অঙ্গুলিহেলনে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ না করে সেটা দেখতে বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যেখানে বিজেপি শাসক দল হিসাবে রয়েছে সেই রাজ্যে এক দফায় ভোট হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একদিনে নির্বাচন হচ্ছে না। মোদী–শাহদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য দ্বিগুণ ফোর্স পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। তাঁরা এসে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। মানুষকে হুমকি দিয়ে বলছে পদ্মতে ভোট দিতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী বলে দিচ্ছেন কোথায় সিআইএসএফ যাবে, কোথায় ইডি যাবে। কিন্তু তৃণমূল এসবে ভয় পায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের টার্গেট এখন পশ্চিমবঙ্গ। সেই কারণেই আধার কার্ড বাতিল করেছে।’
এছাড়া নির্ভয়ে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করার দাবি জানায় বিজেপি। কংগ্রেস গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘হিংসার’ প্রসঙ্গ তুলে নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। সিপিএম আর্জি জানিয়েছে, রাজ্যের অভিযুক্ত প্রশাসনিক ও পুলিশ অফিসারদের যেন ভোটের কাজে নিযুক্ত না করা হয়। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে বলেন, ‘মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।’ সিপিএমের পক্ষ থেকে শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘অবাধ এবং স্বচ্ছ ভোট করতে হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সমস্ত অফিসার ভোট লুটে অভিযুক্ত, তাঁদের দায়িত্ব রাখা যাবে না।’