আগামী ২ জুলাই রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। এই অধিবেশনের আগে থেকেই মুকুল পর্ব নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। আর এই ইস্যুকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কারণ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই অধিবেশনের শুরুতেই বিধান পরিষদ বিল নিয়ে আসতে পারে সরকার। বিধানসভা সূত্রে এই খবর মিলেছে। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহারে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়াও হয়েছিল। সরকার গঠনের পর ১৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। এখন শুধু বিধানসভায় তা পাশ করাতে হবে।
এখন কেন্দ্রীয় আইনসভার দুটি কক্ষ রয়েছে— উচ্চকক্ষ তথা রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ বা লোকসভা। ঠিক তেমনই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখন দেশের ৬টি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব রয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটতে চাইছে বাংলাও। তাতে বিরোধীদের আপত্তি আছে। এখন দেখা যাক বিধানসভার অন্দরে এই নিয়ে কি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা রাজ্য বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার তা ৪০ জনের কম হলেও চলবে না। আগে পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ ছিল। বাংলা কংগ্রেস এবং বামেদের যুক্তফ্রণ্ট সরকারের আমলে তার অবলুপ্তি ঘটে। সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ অবলুপ্তি আইন পাশ হয়।
রাজ্যসভার মতো এই বিধান পরিষদেরও কার্যকাল ৬ বছর। তবে প্রতি ২ বছর অন্তর এক তৃতীয়াংশ সদস্যের অবসর নিতে হয়। সংসদের উচ্চকক্ষের মতোই যে কোনও বিল বিধান পরিষদে আনা যায়। ব্যতিক্রম অর্থ বিল। তবে শুধু রাজ্য সরকার বিধানসভার বিল পাশ করলেই হবে না। লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুটি কক্ষেই বিলটিকে অনুমোদন পেতে হবে। তার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর হলেই কার্যকর হবে।