প্রত্যাশা মতোই গতকাল রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে অমিত মিত্রের বদলে এবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হবেন তিনি নিজেই। আর এরই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রিত্ব বাদে মমতার অধীনে থাকা দফতরের সংখ্যা হয়ে গেল ৮। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই কঠোর পরিশ্রম। কাজে তাঁর অনীহা নেই। রাজনৈতিক জীবনে এক সময় আন্দোলনে ডুবে থাকতেন তিনি। আর বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছেন প্রশাসনিক কাজে।
মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে অর্থ দফতর ছাড়াও রয়েছে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, তথ্য ও সংস্কৃতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার এবং ই- গভর্ন্যান্স। তাঁর দফতরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাবিনা ইয়াসমিন, ইন্দ্রনীল সেনদের মতো প্রতিমন্ত্রী আছেন। তাছাড়া সুদক্ষ আমলারাও রয়েছেন। তাছাড়া অমিত মিত্র, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো উপদেষ্টা রয়েছেন। আছেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীও। সবার সাহায্য নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামলান আটটি দফতরের কাজ।
এদিকে নিজের কাছে অর্থ দফতর রাখার পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় আরও কিছু রদবদল করেছেন মমতা। মঙ্গলবার তিনি ঘোষণা করেন, পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্ব এবার থেকে থাকবে পুলক রায়ের কাছে। পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন বেচারাম মান্না ৷ জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভূঁইয়াকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ভার দেওয়া হয়। শিল্প পুনর্গঠনের দায়িত্ব পান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাকে বাড়তি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থ দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে রেখে দেওয়া হচ্ছে অমিত মিত্রকে। তাঁর পরামর্শেই অর্থ দফতর চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী।