হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগীর দেহ মিলল ফরশোর রোডের পাশে। শনিবার এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহত গিরিশ অধিকারী (৪৬) গত ১৪ জুলাই হৃদযন্ত্রে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি কী করে ফরশোর রোডে পৌঁছলেন তার তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
গিরিশবাবুর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৪ জুলাই হাসপাতালের মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। ১৫ জুলাই বিকেল পর্যন্ত ওয়ার্ডেই ছিলেন তিনি। রাতে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান প্রৌঢ়। শুক্রবার সকালে শিবপুর থানার অন্তর্গত ফরশোর রোডের কাছে তিনি অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন, যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তারপর তারা খবর দেয় শিবপুর থানায়। শিবপুর থানা থেকে ওই রোগীকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে রোগী নিখোঁজ হওয়ার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাওড়া থানা একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। এই নিখোঁজের ঘটনায় শুক্রবার জগাছা থানা থেকে ওই পরিবারকে জানানো হয়। এর পর রোগীর স্ত্রী এবং মেয়ে হাসপাতাল চত্বর এবং আশপাশ এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। যদিও তাঁরা গিরিশবাবুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষে তারা হাওড়া থানার দ্বারস্থ হন। শনিবার সকালে তাঁরা জানতে পারেন ফরশোর রোডে পাওয়া গিয়েছে গিরিশবাবুকে। ছবি দেখে বাবাকে শনাক্ত করেন তাঁর মেয়ে। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা। এর পিছনে বড় ধরনের রহস্য আছে। না হলে কী করে হাসপাতাল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ পাওয়া যায়?
যদিও হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘হাসপাতাল থেকে প্রায়ই রোগীরা নিখোঁজ হয়। এটা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ওই রোগী কিভাবে পালালো তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। এছাড়াও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত করে দেখা হবে’।