আজ বৃহস্পতিবার থেকেই খুলেছে স্কুল। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলে ক্লাস হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে আজ থেকেই শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা মতো পাড়ায় শিক্ষালয় চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস হচ্ছে পাড়ায় শিক্ষালয়ে। সরকারি স্কুল তো বটেই বেসরকারি স্কুলগুলোও রাজ্য সরকারের দেখানো পথে হাঁটতে চাইছে। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ক্লাস করাতে উদ্যোগী হয়েছে।
অনেক বেসরকারি স্কুলের মতে, খোলা মাঠে বা খোলা জায়গায় ক্লাস করাটা পড়ুয়াদের কাছে বাড়তি আনন্দ। ফলে তারাও চাইছেন পাড়ায় শিক্ষালয়ের ধাঁচে ক্লাস করাতে। এ কথা জানান, রামমোহন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস। তিনি বলেন, 'নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। তাই পাড়ায় শিক্ষালয়ের ধাঁচে পড়ুয়াদের ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের অধ্যক্ষ রঞ্জন মিত্র শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগকে অভিনব উদ্যোগ বলে প্রশংসা করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে এই ধাঁচে পড়ুয়াদের ক্লাস করানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। একই পথে হাঁটতে চাইছে খড়্গপুরের গ্রিফিন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলও।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় পাড়ায় শিক্ষালয়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বড় মাঠ হলে সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ক্লাস করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ছোট মাঠের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ জন ক্লাস করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তাদের উপস্থিতির বিষয়টি লেখা হবে সাদা কাগজে। পড়ে তা স্কুলের খাতায় তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে। সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিতে হবে পড়ুয়াদের। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সাড়ে তিন ঘণ্টায় ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।