কলকাতায় দূষণ নিয়ে উদ্বেগজনক ছবি ধরা পড়েছে। রবিবার বিশ্বের দূষিত শহরগুলির মধ্যে তৃতীয় নম্বরের ছিল কলকাতা। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিবেশবিদরা। তারওপর আর কয়েকদিন পরে কালীপুজো। তাতে দূষণ আরও বাড়বে। তাছাড়া শীত পড়লে বাতাসে দূষণও বাড়ে। এই অবস্থায় শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে স্প্রিঙ্কলার চালানো, গাছে জল দেওয়া, রাস্তাঘাটে ধুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত জল দেওয়া, আগুন নেভানো প্রভৃতি পদক্ষেপের কথা চিন্তা ভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন: দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল সুকান্ত মজুমদারের ক্লাবের বিরুদ্ধে, নোটিশ দিল পুরসভা
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতার কোথাও রাস্তাঘাটে আগুন জ্বলছে কি না কিনা সে বিষয়ে পুলিশ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে আরও সক্রিয়ভাবে নজরদারি চালাতে হবে। অন্যদিকে, সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, রাস্তার ধূলিকণা কলকাতা শহরের দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস। সেক্ষেত্রে শহরের সমস্ত প্রধান সড়কে জল ছেটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্য আগেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কলকাতা পুরসভাকে কয়েকটি জল স্প্রিংকলার ট্যাঙ্কার দিয়েছে।
এ বিষয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যান রুদ্র জানান, রাস্তা ঘাটে জল স্প্রে করা হলে সে ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ধূলিকণাগুলি বড় কণাতে পরিণত হয় এবং মাটিতেই পড়ে থাকবে। বাতাসে উড়ে বেড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এইভাবে, শীতকালে রাস্তায় দিনে দুবার জল স্প্রে করা গেলে দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা ধোয়ার জন্য এক বছর আগে পুরসভা ২০টি মেশিন কিনেছিল। রাস্তা ধোয়ার পাশাপাশি, নতুন মেশিনগুলিতে জলের স্প্রিংকলার লাগানো হয়েছে যা গাছ ধুয়ে ফেলতে সক্ষম। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শীতকালে রাস্তাগুলি ধোয়ার পাশাপাশি, লম্বা গাছ ধোয়া হয়ে থাকে। মেয়র পরামর্শ দিয়েছেন, রাতে গাছের শুকনো পাতা পোড়ানো হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পুলিশকে নজর রাখতে হবে। এছাড়া আবর্জনা পোড়ানোর ফলে দূষণ তৈরি হয়। বিশেষ করে ধাপায় বর্জ্য পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষণ বেড়ে যায়। তাই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আগুন নেভানোর জন্য নিয়মিত জল বলা হয়েছে।এর পাশাপাশি ধাপায় যাতে মিথেন গ্যাস কম উৎপাদিত হয়, সেই দিকেও নজর রাখার জন্য বার্তা দিয়েছেন কলকাতার মেয়র। এর ফলে দূষণ কমবে বলে মনে করছেন ফিরহাদ হাকিম।