আঙুল কেটে গিয়ে রক্ত ঝরছিল যুবকের। সেই আঙুল জুড়ে দিল কলকাতার একটি হাসপাতাল। যুবকের আঙুল জোড়ার কাজ সফল হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এখন ওই যুবক আঙুলটি নাড়াচড়া করতে পারছেন। যুবকের আঙুল আগামী ৬–৭ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অখিলেশ কুমার আগরওয়াল এই অস্ত্রোপচার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশুর শ্বাসনালীতে কৌটো আটকে মৃত্যুতে সামনে এল চিকিৎসকদের গাফিলতি
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই যুবকের নাম সাহিলকুমার পাল। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৩০ অক্টোবর। রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরে লিফটে উঠতেই ঘটে বিপত্তি। লিফটের কোলাপসিবল গেটের আঘাতে ডান হাতের কড়ে আঙুল কেটে পড়ে যায় ওই যুবকের। যার ফলে ব্যাপক রক্ত পড়ছিল। এই অবস্থায় দ্রুত মেডিকা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পৌঁছে যান ওই যুবক। তখন জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখতে পান যুবকের ডান হাতের কড়ে আঙুল কেটে পড়ে গিয়েছে এবং যুবক সঙ্গে করে কাটা অংশটিকে নিয়ে যায়। এরপর জরুরী ভিত্তিতে যুবকের অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসক। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রপোচার। অবশেষে কাটা আঙুলটিকে জুড়ে দিতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। তাদের বক্তব্য, দেরি হলে হয়তো সেই আঙুল আর জুড়ে দেওয়া সম্ভব হত না , তবে যুবকের বুদ্ধিমত্তার কারণে তা সম্ভব হয়েছে। হাসপাতালের বক্তব্য ওই যুবক ঠিকমতো আঙুল সংরক্ষণ করে রেখেছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের কাটা আঙুল জোড়ার জন্য প্রথমে সেটি ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। এরপর তা রাখা হয় বরফের মধ্যে। অন্যদিকে, কাটা অংশে রক্তপাত বন্ধ করতে ভালো করে ব্যান্ডেজ করা হয়। তারপর শুরু হয় আঙুল জোড়ার কাজ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের আঙুল ঠিকমতো কাজ করছে গত ৫ নভেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাতত ৭ সপ্তাহ যুবককে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের বক্তব্য ৮ সপ্তাহের মধ্যে আঙ্গুলটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে এ নিয়ে খুশি যুবক।প্রসঙ্গত, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাটা অঙ্গ সংরক্ষণ করতে গেলে যতটা সম্ভব পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলতে হয়। তার পর সেটি একটি পরিষ্কার প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে নিতে হয়। তার পর সেটি বরফের পাত্রে রাখতে হয়।