নানা কৌশল অবলম্বন করেও মেট্রো রেল আর লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না। তাই বারবার নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে। মেট্রোর ভাড়া বাড়ানো হল, টোকেন তুলে দেওয়া হলো, রুট বাড়ানো হচ্ছে, রেক বাড়িয়ে দেওয়া হলো আজ থেকে। তবুও নাকি তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। তাই আবার ভোল বদলাচ্ছে কলকাতা মেট্রো রেলের স্মার্ট কার্ড। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তির দৌলতে তাদের লোগো দেওয়া স্মার্ট কার্ড এনেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এবার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় তাদের লোগো দেওয়া হালকা সবুজ ও সাদা রঙের নতুন স্মার্ট কার্ড আনার প্রক্রিয়া চলছে। সুতরাং যাত্রী–ভাড়ার বাইরে আয় বাড়বে মেট্রোর। তাই ছ’লক্ষ নতুন স্মার্ট কার্ড তৈরি হবে।
করোনাভাইরাসের জেরে যাত্রী–ভাড়া থেকে আয় কমেছে। কারণ এখন টোকেন নেই। শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ডের উপর নির্ভর যাতায়াত। তাই তাতে জোর দেওয়া হয়েছে। এরপরেও বিজ্ঞাপন খাতে আয় বাড়িয়ে রেলের ১৭টি জোনের মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। দেশের যে তিনটি জোন ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয় বাড়িয়ে নজির সৃষ্টি করেছে, তাদের মধ্যে কলকাতা মেট্রো অন্যতম। কিন্তু তারপরও তাঁদের দাবি লাভ হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন, দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন অজস্র স্টেশন মিলিয়ে যাত্রী ভাড়া বহির্ভূত খাতে যে আয় করছে, কলকাতা মেট্রো রেলের থাকা স্টেশন নিয়ে তার সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিচ্ছে। তাহলে লাভ হচ্ছে না বলছে কেন? আসলে আগে আরও বেশি মুনাফা হতো। সেটা হচ্ছে না। কিন্তু কলকাতা মেট্রো রেল লোকসানে চলছে না। এমনকী উত্তর–দক্ষিণ মেট্রোর ২৬টি স্টেশন ও ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর সাতটি স্টেশন থেকে আয়ের নানা রাস্তা খুলেছে মেট্রো।
এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মেট্রোর এক কর্তা বলেন, ‘এই শহরে মেট্রোই একমাত্র দ্রুত যাতায়াতের ভরসার জায়গা। অনেকগুলি মেট্রোপথ কয়েক বছরের মধ্যে চালু হবে। সুতরাং আরও নতুন এলাকার সঙ্গে মেট্রো যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তখন লাভ আরও বেশি হবে। সুতরাং যাত্রী ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয় বাড়লে স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি আরও বেশি করে গুরুত্ব পাবে।’