মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশনের গলায় এখনও কাঁটা হয়ে বিঁধে রয়েছে অনুমোদনহীন জিম। সেই জিম (নবনির্মিত মাঝেরহাট সেতুর কাছে) যাতে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে শনিবার রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) এবং মেট্রো কর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি। দ্রুত সেই বেআইনি জিম উচ্ছেদের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাহায্য নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মাঝেরহাট স্টেশনের বাকি কাজ যেভাবে এগোচ্ছে, তা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এবারের দুর্গাপুজোর আগেই মাঝেরহাট চালু করার জন্য জোরকদমে কাজ চলছে বলে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারকে আশ্বস্ত করেছেন আরভিএনএল কর্তারা।
শনিবার সকালে জোকা-এসপ্ল্যানেড করিডরের (পার্পেল লাইন) নির্মীয়মান মাঝেরহাট স্টেশনের পরিদর্শনে আসেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার। মাঝেরহাট রেল স্টেশনের (শিয়ালদা-বজবজ শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন) কোনদিক থেকে যাত্রীরা মেট্রো স্টেশনে ঢুকবেন, কোথা দিয়ে বেরিয়ে যাবেন, তা খতিয়ে দেখেন। ভায়াডাক্টের প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন। জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আরভিএনএলের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে কীভাবে কাজ এগিয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারকে জানিয়েছেন আরভিএনএল কর্তারা। সেইসঙ্গে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, যে যে কাজ বাকি আছে, তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর আগেই মাঝেরহাট স্টেশন চালু করে দিতে পারবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রোর বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করা যাবে। তাতে আশ্বস্ত হয়েছেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার। ‘ডেডলাইন’ মেনেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তারইমধ্যে শনিবার মাঝেরহাট স্টেশনের কাছে অনুমোদনহীন জিম (প্লট নম্বর ৩৪/১, ডায়মন্ড হারবার রোড) আছে, তাও পরিদর্শন করে দেখেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার। দ্রুত ওই জিম যাতে উচ্ছেদ করা যায়, তা নিয়ে মেট্রো এবং আরভিএনএল কর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ওই বেআইনি জমি উচ্ছেদ করতে হবে। যে জিম উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। সেটি সরানোর জন্য কলকাতা পুলিশকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। যদিও জিম কর্তৃৃপক্ষের দাবি, বিকল্প জমির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।