সবাই যখন কে, কোন দফতর পেল বলে আলোচনা জুড়েছেন তখন বড় একটি বিষয় দেখেও যেন দেখতে পেলেন না অনেকে। সেটা হল– মহম্মদ গোলাম রব্বানি। যিনি ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এবার সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। গোয়ালপোখরের মানুষ বারবার তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাট্রিক করেছেন।
নিজের হাতে রেখেছেন প্রায় ৮টি দফতর। কিন্তু সংখালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর দিয়েছেন এই গোয়ালপোখরের বিধায়কের হাতে। যেখানে বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দফতর নিজের হাতে রেখেছিলেন। সেখানে নিয়ে এলেন এই বড় পরিবর্তন। স্বাভাবিকবাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন করলেন? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, নিজের হাতে এই দফতর রেখে দেওয়ায় বিরোধীরা অভিযোগ করতেন, সংখ্যালঘু তোষণের। সেখানে পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে মহম্মদ গোলাম রব্বানিকে নিয়ে এসে বিরোধীদের অভিযোগ কার্যত খারিজ করলেন তিনি।
সূত্রের খবর, এইসবের পাশাপাশি গোয়ালপোখরের বিধায়ক মহম্মদ গোলাম রব্বানি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনেকে বলে থাকেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের ডান হাত হলেন এই গোলাম রব্বানি। তাই একেবারে সংখ্যালঘু ন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর পেয়ে গিয়েছেন তিনি। সেটা নাকি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের সুপারিশেই। যদিও এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়নি। তবে নিজের হাতে এতদিন ধরে থাকা দফতর সরাসরি আর একজনকে দেওয়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।