তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা ডেকেছিলেন। সেটি বসেছিল ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার এবং নদিয়া জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যান, শাখা সংগঠনের প্রধান এবং বিধায়কদের ডাকা হয়েছিল। আর এই বৈঠকে বাদ পড়েছেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। নদিয়া জেলার বৈঠকে ডাক পাননি মানিক–তাপস।
ঠিক কী ঘটেছে ক্যামাক স্ট্রিটে? সূত্রের খবর, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এখন সাংগঠনিক রদবদল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রদবদলের পর জেলা ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। আর সেখানে দুই বিধায়ককে না ডাকা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁদের ডাকেননি অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের পাশে থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার এই দুই বিধায়কের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ল।
ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য–তাপস সাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে সিবিআই জেরার সম্মুখীন হয়েছেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। আর তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। তারপরই অভিষেকের বৈঠক থেকে এই দুই বিধায়কদের বাদ যাওয়া ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন দুই বিধায়ককে ডাকা হল না? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলেন, ‘সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলকে দুর্নীতিমুক্ত করার কাজে নেমেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেছেন। আর এই বৈঠকে মানিক–তাপসকে না ডাকা কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।’