রেশন দুর্নীতিতে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহে আলু ও সবজি চাষের মরশুমে সারের ব্যাপক কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শুরু করে বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলায় নির্ধারিত মূল্যের অনেক বেশি দামে সার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। ইতিমধ্যে বিরোধীরা সারের কালোবাজারি নিয়ে সরব হয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। এই অবস্থায় সারের কালোবাজারি আটকাতে তৎপর হল নবান্ন। আলু চাষের প্রয়োজনীয় পটাশ সারের কালোবাজারি যাতে কোনওভাবেই না হয় সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন নবান্ন। এছাড়াও, কোথাও কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সারের 'কালোবাজারি', ৬২ জনকে শোকজ, পুলিশ ও TMC-কে দোষারোপা BJP-র
রাজ্য জুড়ে যেভাবে সারের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে তাতে রাজ্য সরকারের অনুমান, এর সঙ্গে শুধু সারের ব্যবসায়ীরাই নন, দফতরের নিচতলার কর্মীরাও জড়িত রয়েছেন। তাই সে বিষয়ে কৃষি দফতরকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্নীতি রুখতে আগামী দিনে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, একের পর এক দুর্নীতিতে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় সারের কালোবাজারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। যেহেতু আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে ফলে সারের কালোবাজারি নিয়ে চাষিদের মধ্যে প্রভাব পড়তে পারে বলে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের অভিযোগ, এই সময় যে পরিমাণ সার সরবরাহের কথা তার চেয়ে অনেক কম সার সরবরাহ করেছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় সারের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র সহ সার উৎপাদক সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া, রাজ্যের অভিযোগ আগে পটাশ সারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভর্তুকি ছিল ২২ টাকা। এখন তা সামান্যই বেড়েছে। ইতিমধ্যেই সারের কালোবাজারি রুখতে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। বহু সার ব্যবসায়ীকে ইতোমধ্যেই শোকজ করেছে কৃষি দফতর। এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি না করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।এই সময় সাধারণত এনপিকে সারে চাহিদা বেশি থাকে। যার ফলে এই সময় এই সারের দাম বৃদ্ধি পায়। তাই সারের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যাবসায়ীদের বিকল্প সার বিক্রিরও পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দফতর। এর পাশাপাশি কৃষকদেরও সচেতন করা হচ্ছে।