জলপাইগুড়ির মাল নদীতে বিসর্জনের সময় ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, আগে থেকে প্রশাসন সতর্ক থাকলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো না। তাছাড়া উদ্ধাকার্যের বিষয়েও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই বিবৃতি পেশ করে জানালো নবান্ন।
মালবাজারে পুরসভা ও সেচ দফতের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে পুলিশে FIR নিহতের স্বামীর
দশমীর রাতে বিসর্জনের সময় মাল নদীতে আচমকা হড়পা বান চলে আসে। নবান্নের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ জন আহত হয়েছে। যার মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার আগেই জানিয়েছিলেন এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবর আগে থেকে ছিল না। নবান্নের তরফে বিবৃতি জারি করেও সেই কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ওইদিন উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে মাল নদীর শাখা-প্রশাখা সিকিম, ভুটান, দার্জিলিঙে বিস্তীর্ণ। ফলে রাজ্যের বাইরে মাল নদীর ক্যাচমেন্ট এরিয়াতে বৃষ্টি হয়েছিল নাকি মেঘ ভেঙে পড়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে নবান্ন।
ঘটনার পরেই স্থানীয়দের অনেকেই উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছিলেন। সেই ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন উদ্ধার কাজে বাধা দিয়েছিল বলেই অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। নবান্নের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুলিশ এবং পুরসভার প্রচেষ্টায় ৪৫০-র বেশি মানুষকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। বিসর্জনের জন্য প্রশাসনের তরফে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু শ্রেণির মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে ভুল বুঝিয়ে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।