এবার শিক্ষক–চিকিৎসকদের জন্য নয়া ফরমান জারি হল। আর তা নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ এবার শিক্ষক–চিকিৎসকদের নিয়মানুবর্তিতায় বাঁধতে চাইছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। আর এটা নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে বড় আকার ধারণ করতে পারে। স্কুল–কলেজে পড়ুয়াদের মতো আচরণ তাঁদের সঙ্গে কেন করা হবে? এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক–চিকিৎসকদের উদ্দেশে নয়া নিয়ম চালুর নির্দেশ জারি করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ যে নেওয়া হবে সে কথাও জানানো হয়েছে।
এদিকে হঠাৎ এমন কেন ঘটল? তা নিয়েও রয়েছে অনেকের প্রশ্ন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল বোর্ড একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটি হল— মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক–চিকিৎসকদের বছরে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতির হার থাকা বাধ্যতামূলক। যে সব শিক্ষক–চিকিৎসকের এটা থাকবে না তাঁদের সংশ্লিষ্ট বর্ষে যুক্ত মেডিক্যাল কলেজের ফ্যাকাল্টি হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। এমনকী এই নিয়ম না মানলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির অনুমতিও না দেওয়া হতে পারে। তাছাড়া কলেজের সময়ে বাইরে গিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস না করার বিষয়ে মুচলেকা দিতে হবে শিক্ষক–চিকিৎসকদের।
অন্যদিকে এত নিয়মানুবর্তিতা নিয়ে শিক্ষক–চিকিৎসকদের মধ্যে একটা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে। বহু শিক্ষক–চিকিৎসক রোজ কলেজে আসেন না থেকে শুরু করে বাইরে প্র্যাক্টিস করতে যান এমন অভিযোগ তাঁদের হাতে এসেছে। আর তার ভিত্তিতেই এই নিয়মানুবর্তিতার বেড়াজাল দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, নানা জেলার মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক–চিকিৎসকরা সেখানে রোজ থাকতে চান না। দু’–চার দিন থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। আবার তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাক্টিসও করেন। এই প্রবণতা আটকাতেই এমন কড়াকড়ি।
আরও পড়ুন: থমকে গেল আপ হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, পাদানি ভেঙে বিপত্তি
এছাড়া কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, আংশিক সময়ের কোনও ফ্যাকাল্টিকে সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষক–চিকিৎসক হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র পূর্ণ সময়ের ফ্যাকাল্টিরাই এই মান্যতা পাবেন। এই মান্যতা মেলে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের পক্ষ থেকে। এমবিবিএস পড়ানোর সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক–চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে শুধু নয়, স্নাতকোত্তর স্তরে অর্থাৎ এমডি–এমএসেও এই নিয়ম বহাল থাকবে। আর মেডিক্যাল কলেজের ছাড়পত্র অব্যাহত রাখতে গেলে মোট শয্যার ১৫ শতাংশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের জন্য রাখতে হবে।