গত মাসে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নবনির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কমিটি। তাতে নাম রয়েছে বিধায়ক তথা চিকিৎসক নির্মল মাজি এবং সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেনের। তবে নার্সিং ও ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে নাম বাদ পড়েছে নির্মল মাজির।
সাধারণত নার্সিং, ডেন্টাল এবং ফার্মাসি কাউন্সিলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে একজন করে মনোনীত প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়। তাঁরা ৫ বছরের জন্য সেখানে থাকেন।এর আগে নার্সিং এবং ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন নির্মল মাজি। তবে এবার এই দুটি কাউন্সিলে নতুন মুখ আনা হয়েছে। নার্সিং কাউন্সিলে চিকিৎসক অভীক দে’কে মনোনীত করে পাঠানো হবে এবং ফার্মাসি কাউন্সিলে পাঠানো হবে সৌরভ পালকে। অন্যদিকে, ডেন্টাল কাউন্সিলে এর আগে মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধি রাজীব গণচৌধুরী। তবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানেও নতুন কাউকে প্রতিনিধিকে হবে। জানা গিয়েছে, সেখানে নির্মলের নাম মনোনীত করে পাঠানো হয়েছিল। তবে পরে সেখানে মনোনীত করা হয়েছে বিধায়ক-চিকিৎসক খগেন মাহাতোকে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে। সেখানে সরকার পন্থীর ১৪ জন চিকিৎসক জয়লাভ করেছেন। এরপরে তাঁদের মধ্যে থেকে সভাপতি করা হয়েছে বিধায়ক ও চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়কে। সুশান্ত রায়কে সহ সভাপতি করা হয়েছে। সহকারী সম্পাদক করা হয়েছে রবি হেমব্রম এবং দীপাঞ্জন হালদারকে। যদিও নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী চিকিৎসক প্রার্থীরা। নির্বাচনে বহু ভুয়ো ব্যালট ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। এমনকী এক রঙের খাম এবং এক রঙের ব্যালট, এমন এনভেলপ পাওয়া গিয়েছে বলেও অভিযোগ। এরপরে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রার্থীরা।