স্বাস্থ্যসাথীর বিলে কারচুপি করলে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল রাজ্য সরকার। এমনকী লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে তাদের। রোগীদের যথাযথ পরিষেবা দিতেই এই নির্দেশ বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নামে লোক ঠকানোর অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে ভর্তি করেও পরীক্ষানিরীক্ষা করতে গুনতে হচ্ছে গাঁটের কড়ি। সেই সংক্রান্ত বহু অভিযোগও জমা পড়েছে। এই প্রবণতা বন্ধে নার্সিংহোম মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বিভিন্ন পরীক্ষার যে দর বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা পছন্দ নয় অনেকের। তাই তারা প্রকল্পের অধীনে রোগী ভর্তি করিয়েও পরীক্ষা করাচ্ছেন প্রকল্পের বাইরে। ফলে রোগীকে তার দাম চোকাতে হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসাথীতে কোনও পরীক্ষা করালে তার কারণ উল্লেখ করতে হয়। ফলে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করালে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। সেই সব ঝক্কি এড়াতে স্বাস্থ্যসাথীর রোগীর পরীক্ষানিরীক্ষা সাধারণ রোগীর মতোই প্রকল্পের বাইরে করানো হচ্ছে।
অজয়বাবু জানিয়েছেন, আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। সেই সব অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। মানুষকে সুবিধা দিতে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প। তাই মানুষ যেন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলেছি।