এরাজ্যেও চালু হয়ে গেল ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প’। গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যের পরিয়ায়ী শ্রমিকদেরও আর খাদ্যাভাবে পড়তে হবে না। সেজন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে গিয়ে যাতে খাদ্যাভাবে না পড়েন। সেকারণে এই প্রকল্প চালু করে দেওয়া হল।
এবার থেকে পরিয়ায়ী শ্রমিকেরা দেশের যে কোনও প্রান্তের রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী নিতে পারবেন। সেকারণেই এই ব্যবস্থা চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল। এবার এই সংক্রান্ত বিষয় নির্দেশিকা জারি করল খাদ্য দফতর। রাজ্যের তরফের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত রয়েছে, তারাই এখন থেকে দেশের যে কোনও জায়গায় গিয়ে রেশন তুলতে পারবেন।
রাজ্যের রেশন ডিলারদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যাতে গ্রাহকদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পোর্টালে জমা হয়, সেজন্য অনলাইনে প্রতিদিন লেনদেনের রেকর্ড রাখতে হবে। পাশাপাশি আরও কতকগুলি সুবিধা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হল, সরকারের তরফে কত পরিমাণ ও কী কী খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ করা হচ্ছে, তা গ্রাহকরা নিজেদের মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন। ফলে, রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে সামগ্রী নিয়ে যে তছরুপের অভিযোগ ওঠে, তারও কিছুটা নিষ্পত্তি হবে।
এছাড়াও রেশন সামগ্রী তোলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে যে, রেশন সামগ্রী তুলে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অন্য কোনও গ্রাহক খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার মতো কারচুপি করতে পারবেন না।
পাশাপাশি রেশন তোলার সময় গ্রাহকের আঙুলের ছাপ অথবা মোবাইল নম্বরে পাঠানো ওটিপি দিতে হবে। এক্ষেত্রেও কেউ কোনও রকম কারচুপি করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, এরাজ্যে অবিলম্বে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করার জন্য দেশের শীর্ষ আদালত কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। গত ১১ জুন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জানানো হয়েছিল, এই পরিষেবা চালুর ব্যাপারে রাজ্যের কোনও রকম অজুহাত শোনা হবে না। গত এক মাস থেকেই আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড সংযুক্তিকরণ এর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই কাজ অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়েছে। অগস্টের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে আধার-রেশন সংযুক্তিকরণের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রশাসন।