পুজো সবে মিটেছে। পেঁয়াজের দাম শুনে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। এবার হয়তো আপেলকেও টেক্কা দেবে পেঁয়াজের দাম। টমেটোর দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজের দাম একেবারে রকেটের মতো বাড়ছে। ছুটছে সেঞ্চুরির দিকে। কলকাতার একাধিক বাজারে পেঁয়াজের দাম ৭০-৮০ টাকায় চলে গিয়েছে। কলকাতা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন বাজারগুলিতে পেঁয়াজের দাম ৭০-৮০ টাকা দরে বিকোচ্ছে। কোলে মার্কেটে পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা প্রতি কেজি। তবে পাইকারি বাজারে এক পাল্লা পেঁয়াজ কিনলে দাম কিছুটা কম পড়ছে।
তবে পুজোর মধ্যেও এরকম পরিস্থিতি ছিল না। পুজোর নবমী-দশমীতেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু আচমকা কী এমন হল যে এভাবে দাম চড়তে শুরু করেছে!
তবে শুধু মহানগরীতেই নয়, জেলায় জেলায় পেঁয়াজের দাম শুনে কান্না পাওয়ার অবস্থা। একেবারে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কিন্তু এত দাম বাড়ল কেন?
ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে অনাবৃষ্টির জেরে পেঁয়াজ চাষ মার খেয়েছে। এর জেরে ওই দুই রাজ্য থেকে বাংলায় সেভাবে পেঁয়াজ আসেনি। তার জেরে ভয়াবহ সমস্যা তৈরি হয়েছে। মূলত চাহিদার তুলনায় যোগান কমে যাওয়ার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে বাংলায় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি হলেও দিল্লিতে কিন্তু ৪০ টাকা রয়েছে পেঁয়াজের দাম। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম রফতানি মূল্য ঠিক করে দিয়েছে। দাম বৃদ্ধি হচ্ছে কি না তার উপরেও খেয়াল রাখছে। সেকারণে দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাংলাতেও রাজ্য সরকার বিভিন্ন বাজারের দাম বৃদ্ধি কেন হচ্ছে তা নজর রাখা শুরু করেছে।
ব্যবসায়ীদের একাংশের যুক্তি পেঁয়াজ ভর্তি গাড়ি শহরে ঢোকার আগেই পুজোর জন্য় আটকে দেওয়া হয়েছিল। তার জেরে প্রচুর পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার জেরেও সমস্যা তৈরি হয়েছে।
তবে পুজোর পরে অনেকেরই পকেটে টান রয়েছে। তার মধ্য়ে পেঁয়াজ কিনতে গিয়েই অর্ধেক পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার পরিস্থিতি সামাল দিতে পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। তবে পেঁয়াজ অবৈধভাবে মজুত রেখে বাজারে কৃত্তিম অভাব তৈরি করা হচ্ছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। আবার কিছু ব্যবসায়ী আগে থেকে কম দামে মজুত করা পেঁয়াজ এই সময় বের করে এই সময় চড়া দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ।