সপ্তাহের শুরুতেই ফের রাজ্যে বাড়ল পেট্রোল–ডিজেলের দাম। রবিবারই ৯০ পেরিয়েছে পেট্রোলের দাম। টানা ৭ দিন ধরে পাল্লা দিয়ে আজ, সোমবারও বাড়ল পেট্রোলের দাম। এদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি বাড়ল ২৪ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৯ পয়সা। দাম বেড়ে এদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৯০.২৫ টাকা হল আর ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২.৯৪ টাকা প্রতি লিটার।
সেঞ্চুরির পথে পেট্রোলের দাম। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মাথায় পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। দাম বৃদ্ধির হারের তুলনা করলে পেট্রোলকে ছাপিয়ে গিয়েছে ডিজেল। পেট্রোল আল ডিজেলের দামের অন্তর ক্রমশ কমে আসছে। আর এর দোসর হয়ে বাড়ল রান্নার গ্যাসের দামও। আজ, সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি বাড়ল ৫০ টাকা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিলিন্ডার প্রতি গ্যাসের দাম বেড়েছিল ২৫ টাকা। অর্থাৎ গত ১৫ দিনে মোট ৭৫ টাকা দাম বাড়ল গ্যাসের। সোমবার কলকাতায় একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৭৯৫ টাকা ৫০ পয়সা।
সরকারের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ায় আরও মহার্ঘ্য হচ্ছে পেট্রোপণ্য। বর্তমানে সর্বাধিক তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি তেল উৎপাদনে রাশ টেনেছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। ভোটের মুখে ডিজেল–পেট্রোল–গ্যাসের দাম বাড়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপি–কে আক্রমণ করে বলেন, ‘ভারতবর্ষের আর কী হবে? পেট্রোলের দাম বাড়বে, ডিজেল–গ্যাসের দাম বাড়বে। মানুষকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের রুটিরুজির ওপর আঘাত করা হল।’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘তিনগুণ দাম করে দেওয়া হল শুধু ট্যাক্স চাপিয়ে। একদিকে দিল্লির ট্যাক্স, তার পর রাজ্যের ট্যাক্স। মানুষকে বুঝতে না দিয়ে মানুষের ওপর লুঠ করা হচ্ছে।’
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এর পাল্টা বলেছেন, ‘যাঁরা পেট্রোল ব্যবহার করেন তাঁরা বিত্তবান। তাঁরা সেস দিচ্ছেন, দাম বেড়েছে। কিন্তু ওই দামের প্রভার ভোগ্যপণ্যের বাজারে নেই।’ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করে রাহুল সিনহা বলেন, ‘রাজ্য সরকার তো পেট্রোল–ডিজেলের দাম থেকে অনেক টাকা ট্যাক্স নিচ্ছে। তার থেকে কত টাকা ছাড়তে রাজি রাজ্য? তা হলেই তো দাম কমে যায়। জনদরদী সরকার বলে কথা। এত কিছু ঘোষণা করছে, এটাও করুক।’