দু’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর এবং পাঁশকুড়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এবার সেই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। এমনকী জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। দ্রুত শুনানির আর্জি জানান আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তাঁর দাবি, এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি ফরেনসিক দল। সমস্ত তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এরপর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলার অনুমতি দিয়েছেন। আজই শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে শনিবার কাঁথির ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। তার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে মৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজকুমার মান্নার স্ত্রী দাবি করেন, আতসবাজি বানাতে গিয়ে ঘটেছে বিস্ফোরণ। মৃতের ভাইয়ের আবার দাবি, বিজেপিকে ভয় দেখানোর জন্য বোমা তৈরি হতো গোপনে। গত সপ্তাহে পাঁশকুড়া থানার সামনে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর এই জনস্বার্থ মামলা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে মামলাকারীদের অভিযোগ, এখন ঘটনাস্থলে নষ্ট করা হচ্ছে প্রমাণ। তাছাড়া ফরেনসিক দল এখনও যায়নি সেখানে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি সব ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক এনআইএ–কে। তবে এই ঘটনায় এনআইএ–কে তদন্তভার দেওয়া হবে কিনা সেটা আজ বিচার করে জানিয়ে দেবে কলকাতা হাইকোর্ট।
এই বিস্ফোরণের ঠিক পরের দিনই কাঁথিতে সভা করার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে সভার যোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। আর এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার একই দাবিতে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। একইসঙ্গে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে।