দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের জেরে শিলিগুড়িতে স্কুল বন্ধ রাখার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তিনি। তার জেরে শাকদলের একের পর এক নেতামন্ত্রীর আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে। শংকরকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মন্তব্য, ওর মতো পাগল কী বলল কিছু আসে যায় না। পালটা কী বললেন শংকরবাবু?
এদিনের ফিরহাদের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় শংকর ঘোষ বলেন, ‘ওর মতো একজন মন্ত্রী আমার কথার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এটা বড় ব্যাপার। তবে আমি যে প্রশ্ন তুলেছি তার কোনও জবাব তিনি দেননি। উলটে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন। ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি আমি করি না। উনি প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দিলে ভালো লাগত। উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র হিসাবে এখানকার মানুষে দাবি আমি তুলে ধরবই।’
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের জেরে শিলিগুড়িতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, এই সব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত দেখে মনে হয়, তবে কি আলাদা রাজ্যের দাবি সঠিক?
পালটা এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘কে একজন বিজেপি নেতা শংকর ঘোষ। গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। টুইট করে রাজ্য কী করে চলবে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জ্ঞান দিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত কী ভাবে নেওয়া হবে তা ঠিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভা রয়েছে। উনি বলার কে?’
তাঁর সংযোজন, ‘কোথায় মেঘ করেছে, কোথায় বৃষ্টি হচ্ছে এসব বলে বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। একসময় শংকর ঘোষ সিপিএমের নেতা ছিলেন। এখন বিজেপিতে আছেন। ভবিষ্যতে অন্য কোনও দলে দেখা যাবে তাকে। ওনার মতো পাগল কী বলল তাতে যায় আসে না।’