কেন্দ্রের চাপে আবাস যোজনার নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য, টুইটে দাবি শুভেন্দুর

শুভেন্দুবাবু টুইটারে লিখেছেন, ‘বিডিওদের এই জরুরি বার্তা পাঠিয়েছেন জেলাশাসক। তাতে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের আগে বিডিওদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ‘সঠিক’ নাম ও লোগো সাঁটতে বলা হয়েছে। সেই লোগোও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শুভেন্দু অধিকারীর টুইট ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রের গুঁতোয় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নিজেদের দেওয়া নাম প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে মমতা সরকার। টুইট করে এমনই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে বিডিয়োদের পাঠানো একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে উপযুক্ত লোগো যেন আঁকা থাকে সেব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে বিডিয়োদের।

শুভেন্দুবাবু টুইটারে লিখেছেন, ‘বিডিওদের এই জরুরি বার্তা পাঠিয়েছেন জেলাশাসক। তাতে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের আগে বিডিওদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ‘সঠিক’ নাম ও লোগো সাঁটতে বলা হয়েছে। সেই লোগোও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দুবাবু। তাই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বিডিওর কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছা মতো প্রকল্পের বাড়ি পরিদর্শনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ উঠেছে। তেমনই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদলে বাংলা আবাস যোজনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। যার বিরোধিতা করে ২০১৭ সালের অগাস্ট প্রথম চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতেও পিছু হঠেনি মমতা সরকার। এর পর গত মাসে ফের রাজ্য সরকারকে এব্যাপারে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। কড়া ভাষায় জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় প্রকল্প কেন্দ্রের দেওয়া নামে না চালালে অনুদান বন্ধ করে দেবে তারা। এর ফলে আবাস প্লাস নামে কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প থেকে রাজ্য বঞ্চিত হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রের এই হুঁশিয়ারির পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। কারণ কেন্দ্রের দেওয়া নাম বদল করার জন্য আর্থিক ক্ষতি সহ্য করার মতো পরিস্থিতি নেই মমতা সরকারের। তাই সাত তাড়াতাড়ি লোগো বদলের সিদ্ধান্ত।