তারাতলার হাইড রোড লাগোয়া গোডাউন পাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণের গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ। সেই তরুণের পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। একইসঙ্গে ওই তরুণ আত্মঘাতী হয়েছে বলেই তদন্তে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তবে ওই তরুণ আত্মহত্যার জন্য কেন এই পন্থা বেছে নিল তা জানতে পেরে তাজ্জব তদন্তকারীরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, কোন মৃত্যু কম বেদনাদায়ক তা ইন্টারনেটে সার্চ করার পরেই নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হওয়ার পদ্ধতি বেছে নিয়েছিল ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ তারিখ শামিম।
মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মুঙ্গেরী সেভেন এমএম পিস্তল এবং বুলেট। কীভাবে ওই তরুণ পিস্তল সংগ্রহ করেছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই তরুণ শেয়ার মার্কেটে লগ্নি করত। সেখানে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সেই কারণেই সে আত্মঘাতী হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবক নিজের থুতনিতে গুলি চালিয়েছিল। প্রথমে ওই তরুণের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। তবে শুক্রবার তার দেহটি শনাক্ত করেছে পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক ওয়াটগঞ্জের কার্ল মার্কস সরণির বাসিন্দা। তার বাবা পরিবহণ ব্যবসায়ী। বেশ কয়েকটি বয়সের মালিক তিনি। খিদিরপুরে একটি নামি ইংরেজি মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র ছিল তারিখ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শেয়ার মার্কেটে টাকা খাটানোর জন্য সম্প্রতি সে তার মায়ের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা এবং বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু, সেই টাকা লোকসান হয়। তদন্তকারীরা ছাত্রের মোবাইল ঘেঁটে জানতে পেরেছে কয়েকদিন ধরেই সে ইন্টারনেটে সার্চ করছিল কীভাবে আত্মঘাতী হলে তা কম যন্ত্রণা পাওয়া যায়। বিষপান থেকে শুরু করে গলায় দড়ি, ঝাঁপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে সম্প্রতি ইন্টারনেট সার্চ করেছিল। শেষমেষ নিজেকে গুলি করে শেষ করে দেওয়ার পন্থা অবলম্বন করেছিল সে। তবে কীভাবে তার কাছে বন্দুক আসল? আগে থেকেই ছিল তার কাছে বন্দুক ছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।