সোমবার নারদ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। এরপরই নিজাম প্যালেসের সামনে তুমুল বিক্ষোভের ছবি দেখা যায়। অভি ইটবৃষ্টিও শুরু হয় ক্রমাগত। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করেও ইট ছোঁড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এবার সেই বিক্ষোভের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল পুলিশ। এই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। হিংসা ছড়ানো, অবৈধ জমায়েত সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। করোনা সতর্কতা বিধি লাগু হওয়ায় কোথাও জমায়েতের ব্যাপারে কড়াকড়ি করা রয়েছে। কিন্তু সেই বিধি সেদিন মানা হয়নি বলেও অভিযোগ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম মামলায় আপাতত নেই। শেক্সপিয়র সরণী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে সেদিনের সেই বিক্ষোভকে ঘিরে নানা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেন এই ধরণের বিক্ষোভ তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এমনকী এনিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি সাময়িক আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল। তবে কর্মীদের সংযত থাকার ব্যাপারে বার বারই অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পৌঁছায় রাজভবনের সামনেও। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল।