আমেথি থেকে দাঁড়াচ্ছেন না রাহুল গান্ধী। এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার এনডিটিভিতে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে আমার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই তিনি এবার আর আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াননি। তিনি এবার রায়বেরেলিতে। স্মৃতি ইরানি বলেন, একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী গান্ধী পরিবারকে প্যাকিং করে পাঠিয়ে দিয়েছেন এটা আমার কাছে গর্বের। এদিকে ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের একমাত্র রায়বেরেলি থেকেই জিতেছিল কংগ্রেস। আর সেই রায়বেরেলিতেই এবার দাঁড়ালেন রাহুল।
স্মৃতি ইরানি বলেন, আমেথির যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়াল গান্ধী পরিবার। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যতদূর আমি জানি যে এটা হল আমেথি থেকে কংগ্রেস দলের পরাজিত হওয়া।
এবার আমেথি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কিশোরী লাল শর্মাকে। কংগ্রেসের দাবি, এবার একেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মীকে ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। স্মৃতি ইরানি বলেন, কংগ্রেসের যদি জেতার একটুও চান্স থাকত তবে তিনি আমেথির লড়াই থেকে সরে যেতেন না। তিনি আবার রাহুল গান্ধীকে এই আসনে দাঁড়াতে বলবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি রাহুল গান্ধীকে এই আসন থেকে পরাজিত করে আগেই ইতিহাস তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, এবারই রাহুল গান্ধী পালিয়ে গেলেন তাই নয়। ২০১৯ সালেও তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় ওয়ানাড়েতে স্বস্তি পেয়েছিলেন তিনি। আর এবছর তিনি লড়তেই চাইলেন না।
রায়বেরেলিতে তিনি রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় আপনারা তাঁকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমার আড়াই দশকের সফল কেরিয়ার ছিল মিডিয়ায়। আমি এমপি হয়েছিলাম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম গ্লোবাল লিডার হয়েছিলাম ২০১৫ সালে। আমি জীবনে অনেক কিছু করেছি। আমার আর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লড়ার দরকার নেই আমার কেরিয়ার বা নাম তৈরি করার জন্য।
তিনি বলেন, আমার বাবা রাজনীতির মানুষ ছিলেন না। যা করেছি নিজের চেষ্টায়। আর মিস্টার গান্ধী শুধু তাঁর সংগঠনকে নীচে নামিয়ে দিয়েছেন তাই নয়, তিনি পরিবারের ঐতিহ্যকেও নামিয়ে এনেছেন। বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী গান্ধী পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন এটা অনেক বড় কথা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, যদি সোনিয়া গান্ধী ভেবে থাকেন তাঁর জামাই ভারতীয় রাজনীতির পক্ষে যথেষ্ট নন, তবে এবার তাঁকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি এনিয়ে কিছু বলব না।