ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হওয়ার পরেই কলকাতার রাস্তায় কমেছে বেসরকারি বাস। যার ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে গিয়ে চরম হয়রানি হতে হচ্ছে যাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও পাওয়া যাচ্ছে না বাস। তারওপর যে কটা বাস চলছে তাতে দেখা যাচ্ছে বাদুড়ঝোলা ভিড়। উপায় নেই, তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই হয়রানির জন্য পরোক্ষভাবে সরকারকেই দায়ী করছে বাস মালিকরা।
বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন ব্যানার্জি জানিয়েছেন, 'প্রথম লকডাউনের পর থেকে গত দু'বছর ধরে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি এবং ডিজেলে জিএসটি বসানো নিয়ে আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। শুধু রাজ্য সরকার নয়, কেন্দ্র সরকারের কাছেও আমরা এই দাবি জানিয়েছি বহুবার। কিন্তু, তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে বেসরকারি পরিবহন শিল্প এখন ধুঁকছে।'
বাস মালিকদের দাবি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়া এবং বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ার ফলে বেসরকারি বাস লোকসানে চলছে। যার ফলে বাসের সিএফ করানোর মত অর্থ তাদের কাছে নেই।
তপন বাবুর কথায়, 'একটি বাসে বছরে ৭০ হাজার টাকা ইন্সুরেন্স দিতে হয়। মিনিবাসে ক্ষেত্রে তা ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। তারপর ব্যাঙ্ক লোন রয়েছে। লোকসানের মধ্যে কিভাবে এত টাকা দেওয়া সম্ভব!' আবারও তিনি ভাড়া বৃদ্ধি এবং ডিজেলের উপর জিএসটি বসানোর পাশাপশি সি এফের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া শহর মিলিয়ে আগে বেসরকারি বাস চলত প্রায় সাড়ে সাত হাজার। কিন্তু, এখন পরিবহন শিল্প ক্ষতির মুখে পরার পাশাপাশি ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করার ফলে বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছে। বর্তমানে দেড় হাজার বেসরকারি বাস রাস্তায় নামছে। এরকম ভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে বাসের সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করেছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।