এবার বকেয়া কর আদায় করতে তেড়েফুঁড়ে নামছে কলকাতা পুরসভা। কারণ এমন অনেক বাড়ি ও ফ্ল্যাট আছে যেখান থেকে দীর্ঘদিন বকেয়া কর মিলছে না। আর এবার এই বকেয়া কর না মেটালে সুদ এবং জরিমানায় বিপুল ছাড় মিলবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই নতুন নিয়ম চালু করছে কলকাতা পুরসভা। এভাবেই ‘টিট ফর ট্যাট’ দিয়ে বকেয়া কর আদায় করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। এই নীতি কার্যকর করলে আয় বাড়বে ও কর মেটানো নিয়মিত হবে বলেই মনে করে কলকাতা পুরসভা।
এদিকে কলকাতা পুরসভায় আর্থিক সংকট রয়েছে বলে খবর। যার জেরে অনেক কাজই করা যাচ্ছে না। বকেয়া সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে আদায় সম্পূর্ণ হচ্ছে না। তাতে পুরসভার কোষাগারের ক্ষতি হচ্ছে। উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এমনকী বকেয়া টাকা কর্মীদের দেওয়া যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। তাই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। বকেয়া কর না মেটালে আর সুদ এবং জরিমানায় বিপুল ছাড় মিলবে না। এই সুযোগ নিতে গেলে বকেয়া কর মেটাতে হবে। তার জন্য যাঁদের বকেয়া আছে তাঁদের বাড়িতে চিঠি যাবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।
অন্যদিকে এই কর আদায় করতে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কলকাতা পুরসভা। সেটি হল— যত বেশি সময়ের ব্যবধানে কর মেটাবেন একজন বকেয়া করদাতারা তত কমবে সুদ এবং জরিমানার উপর ছাড়। এতদিন কয়েক দফার কর একসঙ্গে মেটালে মিলত জরিমানার জন্য ধার্য টাকার ৯৯ শতাংশ এবং সুদ বাবদ ধার্য টাকার ৫০ শতাংশ ছাড়। এবার সেটার পরিমাণ বাড়তে চলেছে। সুতরাং এতে করদাতাদের যেমন উপকার হবে তেমনই কলকাতা পুরসভার আয় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বকেয়া কর আদায় করতে এবার এমনই ফর্মুলা নিয়ে আসতে চাইছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আগেই আবার মিলবে বেতন, সরকারি কর্মীদের মধ্যে এখন খুশির হাওয়া
নতুন নিয়মটি ঠিক কী? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দু’বছরের ক্ষেত্রে এই নিয়মই চালু থাকবে। তবে দু’বছরের বেশি এবং ৫ বছরের কম সময়সীমার ক্ষেত্রে জরিমানার ৭৫ শতাংশ মকুব করা হবে। আর সুদ মকুব হবে ৪৫ শতাংশ। সেখানে ১০ বছরের কম সময়সীমায় ৫০ শতাংশ জরিমানায় ছাড় দেওয়া হবে। সুদে ছাড় দেওয়া হবে ৩০ শতাংশ। ১০ বছরের বেশি সময়সীমার ক্ষেত্রে জরিমানায় ২৫ শতাংশ এবং সুদে ৩৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। নতুন নিয়ম চালু করলে তিনটি বিষয়ে সুবিধা হবে। এক, জমিয়ে রাখার প্রবণতা কমবে। দুই, কর আদায় করতে পরিশ্রম কমবে। তিন, নতুন বছরে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে বলে তখনই বকেয়া কর মিটিয়ে ফেলতে চাইবেন অনেকে। এতে পুরসভায় আয় বাড়বে।