রেলে চাকরির নামে ভয়াবহ প্রতারণা চক্রের খোঁজ মিলেছে। আর সেই প্রতারণাচক্রে মাথায় এক মহিলা। সেই রহস্যময়ীর খোঁজও পেয়েছে বালিগঞ্জ আরপিএফ। সেই মহিলার নাম পিঙ্কি কুমারী। বিহারের সুজাপুরের বাসিন্দা ওই মহিলাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। একেবারে নিপুন দক্ষতায় এই চক্র ভিনরাজ্য থেকে চালানো হচ্ছিল।
সূত্রের খবর, গত ১ জুন চারজন টিটিইকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জিআরপি জানতে পারে তারা ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। প্রতারকরাই তাদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে শিয়ালদা ডিভিশনে কাজ করতে বলেছিল। তার বিনিময়ে তাদের ২০ লক্ষ টাকা করে দিতে হয়েছিল। এরপর এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ শুরু হয়। বুধবার বিআরসিং হাসপাতালের গেটের সামনে থেকে এই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত এক দালালকে ধরে ফেলে পুলিশ।
এদিকে পিঙ্কিকে জেরা করে পুলিশ একাধিক তথ্য পেয়েছে। মূলত দিল্লিতে থেকে এই চক্র চালানো হত। রেলে নিয়োগের নাম করে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিত এরা। এরপর পাতা হত ফাঁদ। ভুয়ো নিয়োগপত্র থেকে ডাক্তারি পরীক্ষা সবটাই সাজানো হত। এরপর মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি। কিন্তু রেলের সঙ্গে সেই চাকরির কোনও সম্পর্ক নেই। কার্যত টিটিইর কাজের তোলাবাজির জন্য দাঁড় করিয়ে দেওয়া হত। এই ভুয়ো ডাক্তারি পরীক্ষার পেছনে কলকাঠি নাড়ত আকাশ ও বিকাশ নামে দুই ভাই। তাদের খোঁজও চলছে। দিল্লি থেকে চক্রটি চললেও বাংলা হ বিভিন্ন রাজ্যে তাদের নেটওয়ার্ক কাজ করত। বাংলায় ভুয়ো পোস্টিং দেওয়ার জন্য বাংলার প্রতারণা চক্রকে দায়িত্ব দেওয়া হত। তারা মোটা টাকার বিনিময়ে নানাভাবে কর্মপ্রার্থীদের ভুল বুঝিয়ে ফাঁদে ফেলত।
তবে রেলের তরফে বার বারই বলা হয়েছে কোনওভাবেই রেলে চাকরি পাওয়ার বিনিময়ে কেউ এই প্রতারণাচক্রে পা দিয়ে না ফেলে। কিন্তু তারপরেও এই প্রতারণাচক্রের দাপট। বাংলার আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও দেখা হচ্ছে।