বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের রেশন দুর্নীতির সূত্র। ইডির দাবি, নয়ের দশকে বিহারে যে সংস্থার মাধ্যমে লালুপ্রসাদ সরকারি পশুখাদ্য খোলা বাজারে বিক্রি করেছিলেন সেই সংস্থার মাধ্যমেই রেশনের আটা খোলা বাজারে বিক্রি করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িত অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে ওই সংস্থার ২ ডিরেক্টর গ্রেফতারির পর রাজসাক্ষী হয়ে মুক্তি পান। তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই লালুপ্রসাদের সাজা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তবে রেশন দুর্নীতিতে তাদের রাজসাক্ষী করার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি বলে জানাচ্ছেন ইডির তদন্তকারীরা।
রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের ব্যাঁটরার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করেছিলেন ইডির তদন্তকারীরা। সেই ডায়রিতে লেখা রয়েছে লেনদেনের যাবতীয় হিসাব। সেই ডায়েরিতে থাকা নাম ধরে শনিবার ভোরে রাজ্যের প্রায় ১ ডজন ঠিকানায় হানা দেয় পুলিশ। তার মধ্যে ছিল হাওড়ায় অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের আটাকল, ডিরেক্টরদের ও কলকাতায় সংস্থার দফতরও।
ইডি সূত্রের খবর, রেশনের গম ভাঙিয়ে আটা তৈরি করে সেই আটা নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করত অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড। এই সংস্থার সঙ্গে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্রের কবর। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের ২ ডিরেক্টর হিতেশ ও রীতেশ চান্দোককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির পর তাঁদের রাজসাক্ষী হতে রাজি হওয়ায় জামিনে মুক্তি পান।
রাজসাক্ষী হিসাবে তাঁরা সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, খোলা বাজারে সরকারি পশুখাদ্য বিক্রির অনুমতি পেতে লালুপ্রসাদকে ৬০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের সাক্ষেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের কারাবাসের সাজা হয় ও তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যায় বলে মনে করা হয়ে থাকে।