রাজ্যে ক্ষমতা দখলে জনতার পূর্ণ সমর্থন পায়নি। পরিসংখ্যান বলছে গত বিধানসভা নির্বাচনের তারে কমবেশি পাঁচ শতাংশ মাত্র ভোট পেয়েছে। তবে বই বিক্রিতে পুরনো দিনের স্বাদ পাচ্ছে বামেরা। এবার দুর্গাপুজোয় বামেদের বুক স্টল থেকে রেকর্ড বই বিক্রি হয়েছে। বামপন্থী বই কেনার জন্য পাঠকদের মধ্যে যে আগ্রহ দেখা গিয়েছে তাতে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে বামেরা। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ্ত সেনগুপ্ত বলেন, ‘এবার পুজোর সময় বই বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। আমরা ভাবতেই পারিনি যে এতটা সাড়া পাব। শুধুমাত্র একটি এরিয়া কমিটি থেকেই প্রায় ছয় লক্ষ টাকার বিক্রি হয়েছে।’
সিপিএমের একটি স্টল থেকেই রেকর্ড বই বিক্রি! সাড়ে ৪ লাখ টাকার বই বিক্রি যাদবপুরে
দীর্ঘদিন থেকেই দুর্গাপুজোয় বইয়ের স্টল দিয়ে আসছে বামেরা। এ বছর দুর্গাপুজোয় গোটা রাজ্যে ১২০০টি বুক স্টল দিয়েছিল বামেরা। কলকাতায় বুক স্টলের সংখ্যা ছিল ১১৬টি। শুধুমাত্র কলকাতা থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় বহুগুণে বেশি। কলকাতার সিপিএম জেলা কমিটির নেতা কল্লোল মজুমদার জানিয়েছেন, এই বছর কলকাতায় বই বিক্রি হয়েছে ৩০ শতাংশ বেশি। এরপরেই আলিমুদ্দিনের তরফে প্রতিটি জেলা কমিটির কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে কোন বুক স্টল থেকে কত বই বিক্রি হয়েছে? এবং কোন বই বেশি বিক্রি হয়েছে? আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এই তথ্য দিতে বলা হয়েছে। ফলে গোটা রাজ্যে কত বই বিক্রি হয়েছে তা জানা যাবে।
বই বিক্রি নিয়ে সিপিএমের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিলেও তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি এবং তৃণমূল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওরা প্রতিবছর বুক স্টল দেয়। আবার সেই বই নিয়ে ফিরে যায়। আর বলে আসছে বছর আবার হবে।’ তিনি বলেন, কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের পাঠক কমিউনিস্ট পড়ে না। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, সিপিএম পুজোয় বিশ্বাস করে না। এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পাল্টা প্রতিক্রিয়া, বর্তমানে চারদিকে যা চলছে তার জন্য মানুষের বামপন্থায় আগ্রহ বাড়ছে।