একদিকে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে ইডি–কে। আবার আর একদিকে তৎপর হয়ে উঠল সিবিআই। তিনদিন ধরে শহর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইডি। আজও আলিপুর এবং সোনারপুরে গিয়েছে ইডির দল। আর অপরদিকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে স্পিড পোস্ট করে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ অগস্ট রাজ্যের ওই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তখনই তাঁর কাছ থেকে সব জানতে চাওয়া হবে।
এদিকে কয়েকদিন আগে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। যা খারিজ করে আগের নির্দেশই বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তখন এই বিষয়ে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করার জন্য সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। ওই মামলার শুনানিতেও রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তখন থেকেই কোমর বেঁধে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে মাঠে নেমেছে সিবিআই।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, যাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তিনি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। কিন্তু নাম প্রকাশ্যে আনতে চায়নি সিবিআই। তিনি নিয়োগ দুর্নীতির সময় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন এবং বিষয়টি জানেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কেমন করে পরিচয় হয়েছিল এবং গোটা দুর্নীতির পরিকল্পনা যেভাবে করা হয়েছিল তা জানতেই এই তলব। দুর্নীতির বিষয়টি জেনে তিনি কেন চুপ করে ছিলেন? এই প্রশ্নই নাকি ভাবাচ্ছে সিবিআই অফিসারদের।
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের হস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ, তিনজনকে পুলিশি জেরা
আর কী জানা যাচ্ছে? বেশ কিছুদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৪টি পুরসভায় একসঙ্গে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের ওই ঝটিকা অভিযানে বহু নথি হাতে আসে তাঁদের। তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সরকারি কর্মসূচি থেকে বলেছিলেন, বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই সিবিআইকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীল গ্রেফতার হতেই একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে। তদন্তকারীরা আদালতে দাবি করেছিলেন, অয়নের থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। সেখান থেকেই উঠে এসেছে রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে।