রাজ্যস্তরের সদর দফতরের পাশাপাশি জেলায় জেলায় ড্রাগ কন্ট্রোলের নানাবিধ অফিস। কিন্তু বছররে পর বছর সেই অফিসগুলি কার্যত অবহেলিত অবস্থায় পড়েছিল এতদিন। এবার সেই অফিসগুলির আধুনিকীকরণে জোর দিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের অধীন ড্রাগ কন্ট্রোল শাখাটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। ১২০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে এজন্য। নয়া ভবন ও ল্যাবরেটরিও তৈরি হবে এই টাকায়। ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরির উপরেও বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যেের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ড্রাগ কন্ট্রোল ভবনগুলিও সংস্কার করা হবে। এজন্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। কনভেন্ট রোডে যে ল্যাবরেটরিটি রয়েছে সেটিরও আধুনিকীকরণ করা হবে। এজন্য ৭৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে। কিন্তু ড্রাগ কন্ট্রোল শাখার আধুনিকীকরণের উপর কেন জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার?
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে যত ওষুধের দোকান রয়েছে সেগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারি সবটাই ড্রাগ কন্ট্রোল শাখার মাধ্যমে হয়। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে যে সমস্ত ওষুধের ইউনিট রয়েছে সেগুলির উপরেও নজর রাখা হয় এই ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসের মাধ্যমে। পাশাপাশি রাজ্যবাসীর কাছে কী ধরণের ওষুধ নিরাপদ সেটাও নির্ধারণ করে ড্রাগ কন্ট্রোল। সেই নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দফতর। সেই দফতরকেই একেবারে আধুনিক ঝা চকচকে রূপ দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে এতসব কিছুর পরেও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে দফতরের হাল ফিরলেও কর্মসংস্কৃতি, কর্মতৎপরতা কি ফিরবে?