পুজো কমিটির নির্বাচন ঘিরে অশান্তি, সেই অশান্তি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। সকলেই আশঙ্কা করেছিলেন বিবাদের জেরে এবার বুঝি আর বাগবাজার সর্বজনীনের দুর্গা পুজো হল না। কিন্তু পুজো এগিয়ে আসতেই ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করে সেই অশঙ্কার মেঘ। ঠিক হয় পুরনো কমিটিই করবে পুজো। সেই মতো শুরুও হয়ে যায় প্রস্তুতি। কিছুটা দেরি হলেও পুরনো ছন্দের ফিরেছে পুজো। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চরমে।
পঞ্চমীর দিন বাগবাজার সর্বজনীননের পুজো উদ্বোধন। অন্য বারের মতো এবারও উদ্বোধন করবেন মিশনের মহারাজ। উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সাংসদ এবং বিধায়করা। তৃতীয় দিন গিয়ে দেখা গেল মণ্ডপের সেই বিখ্যাত ঝাড় লণ্ঠন লাগানোর কাজ চলছে। প্রতিমাকে সাজানোর কাজও শেষ মুহূর্তে। মণ্ডপেরও কাজ চলছে।
বাগবাজার সর্বজনীন পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম নিয়োগী জানালেন, এ বার বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। তবে সব কাজই শেষ মুহূর্তে। উদ্বোধনের আগেই তা সম্পন হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, 'করোনার আগে যে ভাবে পুজো হতো ঠিক সেই ভাবেই এবার পুজো হবে। বাদ যাচ্ছে না সিদুঁর খেলা।' তিনি আরও বলেন, 'এ বারে বিশেষ আর্কষণ ষষ্ঠীর দিন দ্রোন শো। আকাশের বুকে ফুটে উঠে পুজোর প্রতিচ্ছবি।'
প্রসঙ্গত, ১২ বছর পর নতুন কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের আয়োজন হয়। সেই নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয় অশান্তি। পুরনো কমিটির বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তোলে সংগঠনের একাংশ। তাদের অভিযোগ গত তিন বছর ধরে কোনও অডিট হয়নি। ছিঁড়ে ফেলা হয় ব্যালট পেপার। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মিছিলের পরই বৈঠকে বসে বাগবাজার সর্বজনীনের সদস্যরা। সিদ্ধান্ত হয় পুরনো কমিটি পুজোর আয়োজন করবে। সেই মতো শুরু হয় প্রস্তুতি।