তৃণমূল থেকে পুরভোটের টিকিট না পেয়ে অভিমানের সুর শোনা গিয়েছিল শোভনদেব পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। টুইটারে তিনি পোস্ট করেছিলেন, 'আত্মত্যাগ করার আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আত্মহত্যা করার পর বলা হলো এখনও সময় হয়নি।' তাঁর আরও সংযোজন ছিল, ' নিজের সময় আসা পর্যন্ত যে অন্যদের জন্য হাততালি দিয়ে যেতে হয় তা শিখলাম।'
আর এই পোস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের পক্ষে সওয়াল করলেন সায়নদেব। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে টুইটারে দ্বিতীয় পোস্টটি করলেন সায়ন দেব চট্টোপাধ্যায়। এবার টুইটারে তিনি লিখলেন, 'কলকাতা পুরনির্বাচনে আবার দিদি জিতবেন। কলকাতার অলিতে গলিতে খেলা হবে সবুজ আবির।' তার আগের পোস্টকে কেন্দ্র করে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন শোভন পুত্র। তিনি লেখেন, 'আমার আগের পোস্টকে কেন্দ্র করে নানা রকমের জল্পনা শুরু হয়েছে।' তবে রাজনৈতিকভাবে যে তিনি তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন এবং তৃণমূলের সমস্ত প্রার্থীদের প্রতি তার শুভেচ্ছা রয়েছে সে কথাও তিনি প্রকাশ করেন টুইটারে।
উল্লেখ্য,প্রত্যাশামতো এবার অনেকেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্থান পাননি। বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতার পরিজনদের বাদ দেওয়া হয়েছে এই প্রার্থী তালিকা থেকে। দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা বর্ষিয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়কেও এবার পুরভোটে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই সেই জল্পনার অবসান ঘটে।
প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের পরিজনদের অনেকেই। যার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পূজা প্রমূখ। দলের অনেকেই মনে করছিলেন ভবানীপুর আসন থেকে জয়লাভের পরেও শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নিজের আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সেই ত্যাগের ফলস্বরূপ তাঁর পুত্রকে প্রার্থী তালিকায় রাখা হবে । কিন্তু প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় শোভন পুত্রকে। আর তাতেই চোটে গিয়েছিলেন শোভন পুত্র। যদিও এবিষয়ে শোভনের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি