আবার সেই চক ডাস্টার। বেঞ্চের প্রিয় জায়গাটা। স্কুলের লম্বা করিডর। পুরানো সহপাঠী। সবাই কে কেমন আছে? সব কিছু ফিরে পাওয়ার সময় আসন্ন। দীর্ঘ ২০ মাস পরে স্কুলে ফিরছে পড়ুয়ারা। সরকারি নির্দেশে আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের দরজা। তবে স্কুল খোলার আগেই শুক্রবার স্কুলে স্কুলে দেখা গেল সেই চেনা ছবি। ন্যাশানাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভেতে যোগ দিতে এদিন স্কুলে আসে পড়ুয়াদের অনেকেই। দীর্ঘ ২০ মাস পর স্কুলে এসেছিল তারা। বন্ধ ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে স্কুল চত্বরে এসে অত্যন্ত খুশি তারা। অনেকেই জানিয়েছে কোভিড প্রটোকল মেনে মাস্ক পরেই এদিন তারা স্কুলে এসেছিল। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল না। এবার সরাসরি তাদের দেখতে পেয়ে ভালোই লাগছে।
মাঝের সময়টা বদলে গিয়েছে অনেকটাই। রোজকার জীবনে অনেক নতুন শব্দ চলে এসেছে। কোয়ারেন্টাইন, অফলাইন, অনলাইনের ঘেরাটোপে আটকে যাওয়া ছাত্রজীবন। এবার সেই বন্দি জীবন থেকে কিছুটা মুক্ত হওয়ার সময় আসন্ন। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৬ই নভেম্বর থেকে স্কুল খুলবে। এদিকে স্কুলের সময়সীমা কমানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সুদীপ ঘোষ চৌধুরী নামে এক আইনজীবী।
এদিকে প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে প্রশ্ন করেছিলেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপনি কীভাবে সমস্যায় পড়বেন? জবাবে মামলাকারী জানিয়েছিলেন আমার অনেক আত্মীয়স্বজন আছেন। যাঁদের সন্তানরা স্কুলে যাবেন। করোনা আবহে যা নিয়ে আমি আতঙ্কিত। মামলাকারীর কজন সন্তান রয়েছে জানতে চেয়েছিল আদালত। আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর একজন সন্তান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, তাহলে তো আপনার সন্তানকে এখন স্কুলে যেতে হবে না। তবে সব মিলিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে আদালত।