বুধবারই মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়ম মেনে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা শুরু করলে সমস্যা নেই রাজ্য সরকারের। পরদিনই নিজেদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক ডাকলেন শিয়ালদহ ডিভিশেনর বিভাগীয় রেল আধিকারিক এসপি সিং। শুক্রবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে সেই বৈঠক। তাতে বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তিনি।
মার্চ মাস থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। প্রায় পাঁচ মাস পর অবশেষে দেখা দিয়েছে আশার আলো। কিন্তু সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে শিয়ালদহ শাখায় লোকাল ট্রেন চালানো কি বাস্তবোচিত? সূত্রের খবর, সেজন্য একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে শিয়ালদহের রেল কর্তারা।
প্রথমত, স্টেশনে টিকিট ছাড়া প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ হতে চলেছে হকারদের প্রবেশও। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি স্টেশনে বসতে চলেছে অটোমেটিক থার্মাল স্ক্যানার। তৃতীয়ত, ট্রেনগুলিকে গ্যালোপিং হিসাবে একটি স্টেশন অন্তর চালানোর পরিকল্পনা হয়েছে। চতুর্থত, বাড়তি RPF কর্মী নিয়োগের সঙ্গে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশের সাহায্য চেয়েছে রেল।
তাছাড়া দীর্ঘদিন ঘড়ি ধরে কাজ না করায় রেলকর্মীদের একাংশ স্লথ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা। সঙ্গে যাবতীয় যন্ত্রাংশ কতটা সচল রয়েছে তারও পরীক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।
লোকাল ট্রেনে ভিড়ের জন্য কুখ্যাত শিয়ালদহ শাখা। শিয়ালদহ নর্থ শাখা বাদ দিলে মেইন ও দক্ষিণ শাখায় দিনের অধিকাংশ সময় ট্রেনে পা রাখা দায় হয়। শিয়ালদহ শাখায় কাজের দিনে রোজ ৭৬৮টি ট্রেন চলে। আপাতত তার ২৫ শতাংশ পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন রেলের আধিকারিকরা।