নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখা যাবে না। অভিযোগ জমা পড়লেই যেন তা যাচাই করে দেখা হয়। বুধবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে এই কথাই বার বার মনে করিয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ৪ জেলার জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী অফিসারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এদিনের বৈঠকে সীমান্ত এলাকা সিল করা হয়েছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এই সব বিষয়ে আলোচনা হয়। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভোটের দিন নির্বাচন সংক্রান্ত সব রিপোর্ট যেন ঠিক সময়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে জমা পড়ে। যেকোনও অভিযোগ জমা পড়লেই যেন তার সত্যতা ঠিকভাবে যাচাই করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, গোসাবা, শান্তিপুর, খড়দহ ও দিনহাটা কেন্দ্রে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। দিনহাটা কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। শান্তিপুরে মোতায়েন থাকবে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। খড়দহ কেন্দ্রে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি গোসাবায় ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে দিনহাটায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরই নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যাপারে কমিশনের কাছে আর্জি জানায় বিজেপি।