তৃণমূল – বিজেপির আঁতাঁতে রাজ্যে বছরের পর বছর চলেছে গরুপাচার। সেই তদন্ত শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে দরকারে আদালতের দ্বারস্থ হবে বামেরা। মঙ্গলবার এমনই জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম। এদিন তিনি বলেন, অনুব্রত একটা নাট বল্টু, বড় খেলোয়াড়দের এরকম অনেক নাট বল্টু থাকে।
এদিন সেলিম বলেন, ‘দেশ ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর, পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক ও গুন্ডা বদমায়েশ আমদাবাদে, গাজিয়াবাদে, দুবাই, সিঙ্গাপুরে বসে কাজ করছে। এতো বীরভূমে শুধু একটা নাট বল্টু। এদের আঁতাঁত না হলে ইন্টারন্যাশনাল কিছু পাচার হয় না। কেন সিঙ্গাপুর – দুবাইতে ছুটে যেতে হয়। কেন মেহুল চোকসি বাইরে পালায়, কেন দাউদ ইব্রাহিম বাইরে থেকে সব করে। আর তাপ পর কেন বিজেপি চুপচাপ থাকে’।
মুখে কুলুপ অনুব্রতর, হাসপাতাল ফের জানাল ভর্তি করার দরকার নেই
সেলিমের মতে, ‘যারা উঁচু দরের খেলোয়াড় তাদের নীচের তলায় এরকম কিছু নাট বল্টু থাকে। আর ওপরের তলায় যারা বসে আছে তারা ভাগ বাটোয়ারা নেয়। এই জন্য তদন্ত তারা বেশি দূর আর নিয়ে যেতে চায় না। আমরা এই জন্য মাঠে নেমেছি, তদন্তটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব কোর্টের হস্তক্ষেপসহ’।
বলে রাখি, রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতিতে একের পর এক প্রথম সারির তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারিতে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বামেরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বামেদের কর্মসূচিতে ভিড়ও হচ্ছে চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বামেদের। শিক্ষকনিয়োগ দুর্নীতিতে মামলাকারীদের আইনজীবী ছিলেন বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।