দলের মধ্যেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বিজেপি বিধায়কদের একাংশ। দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন পাঁচ বিধায়ক। এ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। দলের একাংশের মতে দলের রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। সেই ক্ষোভেই দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এসেছেন পাঁচ বিধায়ক। এদিকে এসবের মধ্যেই নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে। সূত্রের খবর বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন। ঠিক কেন তিনি নড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চান তা নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে দলের অন্দরে।
দলের একাংশের মতে, এবারের ভোটে মতুয়াদের মন জয়ে নানা কৌশল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে সব প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। মতুয়া অধ্যুষিত একাধিক বিধানসভা এলাকা থেকে এবার জয় হাসিল করেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটে জিতে যাওয়ার পরে সেই মতুয়াদের কথা কার্যত ভুলে যেতে বসেছেন বিজেপির একাংশ। যার জেরে এবার লোকসভা ভোটে বড় ধস নামতে পারে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে। এমনকি ভোটের আগে ঠাকুরবাড়িকে কেন্দ্র করে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা ঠিকঠাক পালন করা হয়নি বলেও অভিযোগ। সম্ভবত সেসব বিষয় নিয়েই এবার নড্ডার কাছে দরবার করতে চাইছেন শান্তনু ঠাকুর। প্রসঙ্গত এবার বিধানসভা ভোটের আগেও ঠিক একইভাবে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় মতুয়া প্রতিনিধিত্ব রাখার আবেদন জানিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর।