বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Sonali Guha: মুকুলের পর সোনালি, BJP-তে ফিরতে চেয়ে কাকুতি মিনতি আরও এক মমতা-ঘনিষ্ঠের

Sonali Guha: মুকুলের পর সোনালি, BJP-তে ফিরতে চেয়ে কাকুতি মিনতি আরও এক মমতা-ঘনিষ্ঠের

সোনালি গুহ

সুকান্তবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে সোনালি গুহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নেই। হাত জোড় করছি। আমি ২ বছর অপেক্ষায় ছিলাম। আমি আর তৃণমূলে ফিরব না। তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বকে নমস্কার জানাই। দিদি ডাকলেও আর যাব না। দিদিকে আমার অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

মুকুল বিড়ম্বনা মিটতে না মিটতে রাজ্য তৃণমূলের এক বিক্ষুব্ধকে নিয়ে ফের বিপাকে বিজেপি। এবার ‘দল করব’ বলে সরাসরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করলেন একদা মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ। সূত্রের খবর, বিজেপি জেনা সজল ঘোষের মাধ্যে সুকান্তবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। আর সাক্ষাতের পর বললেন, দিদি ডাকলেও আর তৃণমূলে যাব না।

এদিন কলকাতায় সুকান্তবাবুর সঙ্গে দেখা করেন সোনালি গুহ। সূত্রের খবর, সুকান্তবাবুকে তিনি জানিয়েছেন পারিবারিক কারণে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারেননি। এবার সক্রিয় হতে চান তিনি। সুকান্তবাবু তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, দল প্রয়োজন মতো আপনাকে সুযোগ দেবে।

সুকান্তবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে সোনালি গুহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নেই। হাত জোড় করছি। আমি ২ বছর অপেক্ষায় ছিলাম। আমি আর তৃণমূলে ফিরব না। তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বকে নমস্কার জানাই। দিদি ডাকলেও আর যাব না। দিদিকে আমার অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজনৈতিক উত্থানের সাক্ষী সোনালি গুহ। তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কার্যত তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন। কিন্তু ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে সোনালিকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। অভিমানে রাতারাতি বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু সোনালির ভাবমূর্তি তেমন ভালো না হওয়ায় সেখানেও তাঁর ভাগে শিকে ছেঁড়েনি। এর পর রাজনীতিতে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যান তিনি। মাস কয়েক পর বিজেপিতে যোগদানের জন্য ক্ষমা চেয়ে চিঠি লেখেন মমতাকে। কিন্তু কাজ হয়নি। তৃণমূলের তরফে কোনও বার্তা এসে পৌঁছয়নি তাঁর কাছে। যার জেরে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক বৃত্ত থেকে দূরে সরে যান তিনি।

বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২১ সালে দলে যোগদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অনেক শিথিল করা হয়েছিল। যার ফলে ভালোর থেকে খারাপ হয়েছে বেশি। তাই এবার বাছাই করে দলে লোক নিতে চায় তারা। প্রবীণ রাজনীতিক হিসাবে সোনালি দেবী সক্রিয় হতে চাইলে স্বাগত। কিন্তু এখুনি বড় কোনও দায়িত্ব তিনি পাবেন না। দলের প্রতি বিশ্বস্ততা প্রমাণ করতে পারলে তবেই কোনও পদ পেতে পারেন তিনি।

বন্ধ করুন