ভাইফোঁটা নিতে প্রতিবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। ব্যতিক্রম ঘটে ছিল তাঁর দলবদলের পর। সে বছর তিনি মমতার বাড়ির কালী পুজোতে উপস্থিত ছিলেন না। দেখা যায়নি ভাইফোঁটাতে। তবে এ বছর সেই পুরনো ছবি আবার দেখা গেল। ভাইফোঁটা নিতে 'দিদি'র বাড়িতে হাজির হলেন 'কানন'। সঙ্গে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
দু'জনকে গাড়ি করে দুপুর আড়াইটে নাগাদ মমতার কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। বেরনোর সময় বৈশাখী বলেন, 'অভিমানের মেঘ কেটেছে, এবার শোভনের সরাসরি রাজনীতিতে ফেরা উচিত।' তাঁর আরও সংযোজন, 'শোভন মমতাদির খুবই আদরের।' জানা গিয়েছে খানিক ক্ষণ কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। কী কথা হয়েছে তা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে শোভন শুধু বলেন,'দিদির সঙ্গে কথা একান্তই দিদি আর আমার মধ্য়েকার ব্য়াপার।' তবে রাজনীতির কথা যে হয়নি তাও অস্বীকার করেননি তিনি। প্রাক্তন মেয়র বলেন, ‘রাজনীতির কথা হবে না তা তো হয় না।'
এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সকলে নিজের মান অভিমান নিয়ে ব্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গের কী হবে তা নিয়ে কারও চিন্তা নেই। মেঘ জমছে কেন, মেঘ কাটছে কেন সেটাও আমরা বুঝতে পারি না।'
একদা মেয়র, রাজ্যের মন্ত্রী গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। কিন্তু তাঁকে সেখানে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। পরে পদ্মশিবিরের সঙ্গে তাঁর দুরত্ব বাড়ে। গত জুনে বান্ধবী বৈশাখীকে সঙ্গে নবান্নে যান। তার পর থেকে তাঁদের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়শী প্রশংসা করেন বৈশাখী। বৃহস্পতিবার সেই একই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। এখন ভাইফোটার পর শোভন কবে তৃণমূলে ফেরেন, রাজনীতি সক্রিয় হন কি না সেটাই দেখার।